
রাজধানীতে সিএনজিচালিত অটোরিকশার যাত্রী সেজে ছিনতাইয়ের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের বসুন্ধরা রিভার ভিউ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাজুল ইসলাম (৩০) নামে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ।
গোয়েন্দা পুলিশের ওয়ারী জোনের অতিরিক্তি উপ-পুলিশ কমিশনার আবু আশরাফ সিদ্দিকী জানান, গ্রেপ্তার তাজুল ইসলাম ও তার সহযোগীরা অটোরিকশার যাত্রী সেজে মতিঝিল, যাত্রাবাড়ী, শ্যামপুর ও গেন্ডারিয়া এলাকায় ছিনতাই করত। চক্রটি অটোরিকশা নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে মানুষজনকে টার্গেট করত। ভাড়া ঠিকঠাক হলে তারা গন্তব্যস্থলের উদ্দেশে রওনা দিত। কিছু দূর গিয়ে সুবিধাজনক জায়গায় পৌঁছে তাজুর সহযোগী যাত্রীবেশে থাকা ছিনতাইকারীরা টার্গেট করা যাত্রীকে ভয়ভীতি দেখায় ও মারধর করে। এভাবে তারা ওই যাত্রীর কাছে থাকা টাকাসহ মূল্যবান জিনিস ছিনিয়ে নেয়।
পরে ভিকটিমের মোবাইল ফোন দিয়ে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে মুক্তিপণ দাবি করে। মুক্তিপণ আদায়ে ব্যর্থ হলে ভিকটিমের হাত, পা ও মুখ বেঁধে রাজধানীর বাইরে নির্জন জায়গায় নিয়ে ফেলে দেয়।
১ অক্টোবর একজন সাংবাদিক মতিঝিল শাপলা চত্বরে বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। কিছুক্ষণ পর একজন অটোরিকশা চালক তাকে কোথায় যাবেন জিজ্ঞাসা করেন। গন্তব্য জানালে ওই চালক তাকে ৪০ টাকা ভাড়া দিতে বললে তিনি রাজি হন।
তিনি জানান, অটোরিকশায় আগে থেকে দুইজন লোক বসা ছিল। ওই দুই যাত্রীর মাঝে সাংবাদিককে বসানো হয়। অটোরিকশাটি সাড়ে ৭টায় ওয়ারী থানার এস আলম গ্রুপের গ্যারেজের সামনে এসে পৌঁছালে চক্রের সদস্যরা তাকে মারধর করে। পরে তার চোখ ও দুই হাত বেঁধে ফেলা হয়। টাকা, মোবাইল ফোন ও মূল্যবান জিনিস ছিনিয়ে নেয়ার পর তারা অপহরণের ভয় দেখায়। এ সময় পরিবারের কাছে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করে চক্রটি। একপর্যায়ে রাত ৮টা ৪০ মিনিটের দিকে ওই সাংবাদিককে পোস্তগোলা নামিয়ে দিয়ে চলে যায়।
৪ অক্টোবর এ ঘটনায় ওয়ারী থানায় মামলা করেন ওই সাংবাদিক।
জানা গেছে, সাংবাদিকের মামলা নিয়ে থানার পাশাপাশি ছায়া তদন্ত শুরু করে ওয়ারীর গোয়েন্দা পুলিশের জোনাল টিম। অভিযুক্তদের শনাক্ত করে ছিনতাই চক্রের হোতা তাজুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়।
চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
তাজুল ইসলামকে ওয়ারী থানার মামলায় আদালতে পাঠানো হয়েছে।