
সরকারের অনুমতি পেলেই বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে উন্নত চিকিৎসার বিষয়ে মেডিকেল বোর্ড সিদ্ধান্ত নেবে । এমনটাই জানিয়েছেন তার চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন।
আজ শুক্রবার রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের বাইরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য সরকারের কাছে পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন জানানো হয়েছে। এখন এটি সরকারের বিষয়, তারা কবে নাগাদ উনাকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেবে। এখনো উনাকে (খালেদা জিয়া) অনুমতি দেয়া হয়নি। যখন অনুমতি আসবে তখন হাসপাতালের মেডিকেল বোর্ড এই ব্যাপারে পরবর্তি সিদ্ধান্ত নেবে।”
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘আজকেও মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা উনাকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন। যে চিকিৎসা গতদিনও ছিলো সেই চিকিৎসাই বোর্ড অব্যাহত রেখেছেন।
আলহামদুলিল্লাহ গতকালকের ন্যায় আজকে ম্যাডামের অবস্থা স্থিতিশীল আছে। তার অবস্থা অপরিবর্তিত।”
গত ২৭ এপ্রিল করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ১৫ দিনের পর এভারকেয়ার হাসপাতালে সিটি স্ক্যান ও হৃদরোগের কয়েকটি পরীক্ষার পর চিকিৎসকদের পরামর্শে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর ৫দিন শ্বাসকষ্ট অনুভব করলে চিকৎসকরা তাকে করোনার কেয়ার ইউনিটে স্থানান্তর করে। প্রতিদিনই তাকে কয়েক লিটার অক্সিজেন গ্রহণ করতে হয়।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমিত হওয়ার পর গত ১১ এপ্রিল থেকে গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’য় থেকে ব্যক্তিগত চিকিৎসক টিমের তত্ত্বাবধায়নে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন খালেদা জিয়া। ১৪ দিন পর আবার পরীক্ষা করা হলে তখনও তার করোনাভাইরাস ‘পজেটিভ’ আসে।
এরপর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ২৭ এপ্রিল রাতে তাকে এভারকেয়ার হাসপপাতালে নেয়া হয়। সিটি স্ক্যান ও কয়েকটি পরীক্ষার পর সেই রাতেই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে নেয়া হয়।