
কথা ছিল করোনাভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচি শুরুর আগে (২৫ জানুয়ারি) ‘সুরক্ষা’ অ্যাপ পাওয়া যাবে গুগল প্লে স্টোরে। তবে নানা জটিলতায় আটকে থাকার পর অবশেষে উন্মুক্ত হলো সুরক্ষা।
অবশ্য এর আগে টিকা নিতে শুধু ওয়েবসাইটে নিবন্ধন করে ২৬ লাখের বেশি মানুষ। তাদের মধ্যে টিকা নিয়েছে ১৬ লাখ।
রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ অ্যাপ উদ্বোধন করেন। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি ও বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান পাপন ও স্বাস্থ্যসচিব আবদুল মান্নান।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ মাসেই ৩৫ লাখ টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে সরকারের। সে লক্ষ্যে ২৫ জানুয়ারি তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে এই অ্যাপটি হস্তান্তর করার কথা ছিল। তবে গুগল প্লে স্টোরের অনুমোদন না পাওয়ায় প্রায় এক মাস সময় অ্যাপ হস্তান্তর আটকে গিয়েছিল। এ নিয়ে শুরুতে টিকা কার্যক্রমে ধীরগতি ছিল।
এমন বাস্তবতায় টিকা নিতে সবাইকে আগ্রহী করতে নিবন্ধনপ্রক্রিয়া সহজ করেছে সরকার। ওয়েব পোর্টালে সুরক্ষা লিংক আরও সহজ করা হয়েছে। শুরুতে টিকা নিতে ৫৫ বছরের বাধ্যবাধকতা থাকলেও পরে তা কমিয়ে ৪০ বছর করা হয়েছে।
একটি অ্যাপের জন্য কেন এত দিন লাগল এমন প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম শাখার ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার (মেডিক্যাল বায়োটেকনোলজি) ডা. মারুফুর রহমান অপু বলেন, ‘সরকারি কোনো অ্যাপ গুগল প্লে স্টোরে আসতে নানা জটিলতা পার করে আসতে হয়। এটা যদি কারও ব্যক্তিগত অ্যাপ হতো, তাহলে এত সময় লাগত না। একটা সরকারি অ্যাপ অথেনটিকেশন করতে গুগলের নানা প্রক্রিয়া রয়েছে। বাংলাদেশের সিস্টেম তো আর আমেরিকার সিস্টেমের মতো না।’
মারুফুর বলেন, ‘অ্যাপটির ভেরিফিকেশন নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছিল। সব সমস্যা সমাধান হয়ে আজ উন্মুক্ত করা হচ্ছে। প্রথম দফায় গুগল থেকে কিছু কাগজপত্র চাওয়া হলে আমি সব দিয়েছি। কিন্তু গুগল কর্তৃপক্ষ সেটাকে রিজেক্ট করে দিয়েছে।’
এর আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছিলেন, কিছু জটিলতায় অ্যাপটি আটকে ছিল। তবে অ্যাপটি আইসিটি মন্ত্রণালয় তৈরি করেছে ও গুগল প্লে স্টোরে আপলোড করেছে। এটা একটা প্রসেসিংয়ের বিষয়। তাই একটু সময় লাগছে। অ্যাপ না থাকায় আপাতত সুরক্ষা ওয়েবসাইটে নিবন্ধন চলছে।
টিকাকেন্দ্রেও নিবন্ধনের সুযোগ রয়েছে।