
মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেতা অং সান সু চির বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে আমদানি করা ওয়াকিটকি ব্যবহারের অভিযোগ এনেছে দেশটির পুলিশ।
অভিযোগ প্রমাণ হলে শান্তিতে এ নোবেলজয়ীর দুই বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
মিয়ানমারের রাজধানী নেপিদোর একটি থানার নথিতে বলা হয়, সু চির বাসভবন তল্লাশি করে হ্যান্ডহেল্ড রেডিও জব্দ করেন সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা। রেডিওটি বেআইনিভাবে আমদানি করা হয়েছে। অনুমতি ছাড়াই সু চির দেহরক্ষীরা এটি ব্যবহার করত।
আরো জানা গেছে, নভেম্বরের নির্বাচন নিয়ে তদন্ত শুরু করবে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করা সামরিক সরকার।
ওই নির্বাচনে সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) কাছে বিপুল ভোটে হেরে যায় সেনাবাহিনী-সমর্থিত দল ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (ইউএসডিপি)। সেনাবাহিনীর অভিযোগ, নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি হয়েছে।
এ ছাড়া নির্বাচনি প্রচারের সময় করোনাভাইরাস রোধে স্বাস্থ্যবিধি ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টের বিরুদ্ধে।
ক্ষমতা দখল করে মিয়ানমারে সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) জরুরি অবস্থা জারি করে সামরিক বাহিনী। দেশটিতে জারি রয়েছে সান্ধ্যকালীন কারফিউ। তবে এর মধ্যেও অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে সরব হচ্ছে বিভিন্ন মহল।
নেপিদো, ইয়াঙ্গুনসহ অন্যান্য শহরের ৭০ হাসপাতাল ও মেডিক্যাল বিভাগের কর্মকর্তারা সেনা শাসনের অধীনে কাজ করবেন না বলে জানিয়েছেন।
তাদের ভাষ্য, করোনাভাইরাস মহামারির সময় সাধারণ মানুষের দুর্দশার চেয়ে নিজেদের স্বার্থকেই অগ্রাধিকার দিয়েছেন জেনারেলরা।
মিয়ানমারের চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে বলা হয়, অবৈধ সেনা শাসকদের নির্দেশ না মানার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তারা প্রমাণ করেছে, দরিদ্র রোগীদের নিয়ে তাদের কোনো ভাবনা নেই।
এ ছাড়া মিয়ানমার টিচার্স ফেডারেশনসহ শিক্ষকদের অন্য সংগঠন অসহযোগ আন্দোলনের প্রচারে অংশগ্রহণের ঘোষণা দিয়েছে। অল বার্মা ফেডারেশন অফ স্টুডেন্টস ইউনিয়ন সরকারি কর্মচারীদের ধর্মঘটের ডাক দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
গতকাল বুধবার রাতে ইয়াঙ্গুনের বাসিন্দারা তাদের ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে হাড়ি-পাতিল বাজানোর মধ্য দিয়ে সেনা সরকারের বিরুদ্ধে প্রতীকী প্রতিবাদ করে। প্রতিবাদের অংশ হিসেবে গাড়িতে হর্নও বাজান অনেকে।