
ব্লাস্ট পাস্ট ফাস্ট, ফাইভ জি স্পিড, দ্রুতগতির অ্যা ১৪ বায়োনিক চিপ, এজ টু এজ ওএলইডি ডিসপ্লে, সিরামিক শিল্ড, প্রতিটি ক্যামেরায় নাইট মোড, অ্যাপল তাদের আইফোন ১২-কে এভাবেই বর্ণনা করেছে।
ফোনটির দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ যথাক্রমে ১৪৭ দশমিক ৭ ও ৭১ দশমিক ৫ মিলিমিটার। ওজন ১৬৪ গ্রাম। এটি আইফোন ১১ থেকে আকারে ছোট ও ওজনে হালকা। এতে দুটি সিম ব্যবহার করা যায়।
আইফোন ১২ জিএসএম, সিডিএমঅ্যা, এইচএসপিঅ্যা, ইভিডিও, এলটিই ও ৫জি নেটওয়ার্ক সাপোর্টেড।
ফোনটিতে ব্যবহার করা হয়েছে, ৬ দশমিক এক ইঞ্চি মাপের ওএলইডি ডিসপ্লে। এতে পিক্সেল দেওয়া হয়েছে ১১৭০*২৫৩২। ২০১৪ সালের পর থেকে আইফোনের ক্ষেত্রে কার্ভড গ্লাস দেখা গেছে। কিন্তু ২০২০ সালে এসে আইফোন ১২ এর ক্ষেত্রে তেমনটা দেখা যায়নি। এর পেছনের অংশ অ্যালুমিনিয়াম ম্যাটেড।
ফোনটিতে অধিক টেকসই সিরামিক শিল্ড গ্লাস প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়েছে।
আইফোন ১২-এ অ্যাপলের নিজস্ব অপারেটিং সিস্টেম ১৪ দশমিক ১ ব্যবহার করা হয়েছে। এ ছাড়া এতে প্রসেসর দেওয়া হয়েছে অ্যা ১৪ বায়োনিক চিপ। ফোনটিতে হেক্সাকোর সিপিইউ ব্যবহার করা হয়েছে। পাশাপাশি ফোর কোর গ্রাফিকসের অ্যাপল জিপিইউ দেয়া হয়েছে।
এক্সটার্নাল কোনো মেমরি স্লট আইফোন ১২ -এ রাখা হয়নি। ৬৪ গিগাবাইট থেকে ২৫৬ গিগাবাইট মেমরি ও ৪ গিগাবাইট র্যাম ব্যবহার করা হয়েছে ফোনটিতে।
ফোনটির পেছনে দুটি প্রাইমারি ক্যামেরা রয়েছে। এর মধ্যে একটি ১২ মেগাপিক্সেলের ওয়াইড ক্যামেরা। অন্যটি ১২ মেগাপিক্সেলের আলট্রা ওয়াইড। ক্যামেরা দিয়ে কম আলোয় নিঁখুত ও ভাল ছবি তোলা যায়। ফোনটির সেলফি ক্যামেরাটিও ১২ মেগাপিক্সেল।
আইফোন ১২- এ ব্যবহার করা হয়েছে স্টেরিও স্পিকার। ইয়ারফোন ব্যবহারের জন্য রয়েছে ৩ দশমিক ৫ মিলিমিটার জ্যাক।
ফোনটিতে ব্যবহার করা হয়েছে ২৮১৫ মিলিঅ্যাম্পিয়ারের লি-আয়ন ব্যাটারি। রয়েছে ম্যাগসেফ (তারবিহীন) চার্জিং ব্যবস্থা।
একবার চার্জ দিয়ে ৬৫ ঘণ্টা পর্যন্ত গান শোনা যায়। মাল্টিমিডিয়া ব্যবহার করা যায় ১৭ ঘণ্টা। এটি ১৫ ওয়াটের উপরে ওয়্যারলেস চার্জিং সাপোর্ট করে।
আইফোন ১২ সাদা, কালো, লাল, সবুজ ও নীল রঙে বাজারে পাওয়া যায়।
আইফোন ১২-এর (৬৪ গিগাবাইট) দাম শুরু ৭৯৯ মার্কিন ডলার থেকে।