
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে সশস্ত্র বাহিনীকে গড়ে তোলা হচ্ছে।
গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে আজ বুধবার সকালে চট্টগ্রামের বিএনএতে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর মিডশিপম্যান-২০১৮ আলফা ও ডিইও ব্রাভো ব্যাচের শীতকালীন রাষ্ট্রপ্রতি কুচকাওয়াজে অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী কথাগুলো বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে যা করা দরকার, তাই করছে সরকার। যেকোনো সংকট মোকাবিলায় দক্ষতা অর্জনে নৌবাহিনীর সদস্যদের প্রতি তিনি আহ্বান জানান।
দেশের উন্নয়নে তাঁর সরকারের উদ্যোগ তুলে ধরে এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মুজিব জন্মশতবর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না, এটাই তাঁর সরকারের লক্ষ্য।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্য বলেন, “২০০৯ সালে যখন আমরা সরকার গঠন করি তখনই আমরা উদ্যোগ নিই। একদিকে প্রতিরক্ষা নীতিমালা রাখি, আর সময়োপযোগী করে ‘ফোর্সেস গোল ২০৩০’ প্রণয়ন করি। সমুদ্রসীমায় আমাদের যে অধিকার রয়েছে, সে বিষয়ে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করি। আমাদের দুটি প্রতিবেশী দেশ ভারত ও মিয়ানমারের বিরুদ্ধে যদিও আমরা মামলা করি, কিন্তু তাদের সঙ্গে আমরা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেই মামলা করি এবং বিজয় অর্জন করি। বিশাল সমুদ্রসীমা আমরা অর্জন করতে সক্ষম হই।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের নৌবাহিনীকে আরো শক্তিশালী করার জন্য আমরা এরই মধ্যে ২৭টি নতুন যুদ্ধজাহাজ সংযোজন করেছি। দুটি অত্যাধুনিক সাবমেরিন আমরা সংযোজন করেছি। ফলে আমাদের বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে আমরা সম্পূর্ণ ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে রূপান্তরিত করতে সক্ষম হয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমাদের সবসময় লক্ষ—আমাদের দেশটা স্বাধীন দেশ, বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে চলব। আমরা আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেব। কিন্তু কারো সঙ্গে যুদ্ধ নয়, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয় —এই পররাষ্ট্রনীতি নিয়েই আমরা চলব। আমরা শান্তি চাই, যুদ্ধ চাই না। কিন্তু, আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় যেন সব ধরনের প্রস্তুতি থাকে, সেভাবেই আমাদের প্রতিরক্ষা বাহিনীকে গড়ে তুলছি।’