প্রধান প্রতিবেদন

একুশে পদক পেলেন ২১ গুণীজন


অমর একুশে ফেব্রুয়ারি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আজ শনিবার ২১ জনকে দেশের দ্বিতীয় বৃহৎ সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, এ পুরস্কার কোনো ব্যক্তিবিশেষের জন্য নয়, সমগ্র জাতির জন্য।


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘একুশের পথ বেয়েই আমাদের রক্তস্নাত স্বাধীনতা থেকে শুরু করে সব অর্জন। বাঙালির মুক্তির সংগ্রামের ইতিহাসে একুশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে আজ সকালে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক রাজধানীর ওসামানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ২১ বিজয়ীর হাতে এ পদক তুলে দেন। প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত ছিলেন।

এ বছর ভাষা আন্দোলনে তিনজন, মুক্তিযুদ্ধ ক্যাটাগরিতে তিনজন, শিল্পকলায় সাতজন, ভাষা ও সাহিত্যে তিনজন, সাংবাদিকতা, শিক্ষা, গবেষণা, অর্থনীতি ও সমাজসেবায় একজন করে মোট ২১ জনকে একুশে পদক দেওয়া হয়। পুরস্কার হিসেবে স্বর্ণপদক, সনদ ও চেক দেওয়া হয়।

ভাষা আন্দোলনে অবদানের জন্য এবার মরণোত্তর একুশে পদক পেয়েছেন মোতাহার হোসেন তালুকদার (মোতাহার মাস্টার), শামছুল হক ও আইনজীবী আফসার উদ্দীন আহমেদ।

শিল্পকলায় পদক পেয়েছেন কণ্ঠশিল্পী পাপিয়া সারোয়ার, অভিনেতা রাইসুল ইসলাম আসাদ, সালমা বেগম সুজাতা (সুজাতা আজিম), আহমেদ ইকবাল হায়দার (নাটক), সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকী (চলচ্চিত্র), ড. ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায় (আবৃত্তি) ও পাভেল রহমান (আলোকচিত্র)।

মুক্তিযুদ্ধ ক্যাটাগরিতে গোলাম হাসনায়েন, ফজলুর রহমান খান ফারুক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দা ইসাবেলা (মরণোত্তর) পদক পেয়েছেন।

সাংবাদিকতায় অজয় দাশগুপ্ত, গবেষণায় অধ্যাপক ড. সমীর কুমার সাহা, শিক্ষায় বেগম মাহফুজা খানম, অর্থনীতিতে ড. মীর্জা আব্দুল জলিল, সমাজসেবায় অধ্যাপক কাজী কামরুজ্জামান; ভাষা ও সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য কবি কাজী রোজী, বুলবুল চৌধুরী ও গোলাম মুরশিদ পদক পেয়েছেন।

বিজয়ীরা নিজ নিজ পদক গ্রহণ করেন এবং মরণোত্তর পদক বিজয়ীদের পক্ষে তাঁদের পুত্র-কন্যা এবং পরিবারের সদস্যরা গ্রহণ করেন।

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম পদক বিজয়ীদের সাইটেশন পাঠ করেন এবং পুরস্কার বিতরণ পর্বটি সঞ্চালনা করেন। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. বদরুল আরেফীন স্বাগত বক্তব্য দেন।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এবং সংসদ সদস্য, পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা, দেশবরেণ্য ব্যক্তিত্ব, কবি, সাহিত্যিক, লেখক, বুদ্ধিজীবী ও আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button