
করোনাভাইরাস মহামারী পরিস্থিতি বিবেচনায় এবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধান, সামাজিক দূরত্ব ও যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে প্রতিটি সংগঠন বা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ পাঁচজন প্রতিনিধি ও ব্যক্তি পর্যায়ে একসঙ্গে সর্বোচ্চ দুইজন শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে পারবেন।
আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে ২০২১ সালের অমর একুশে উদযাপনের প্রস্তুতি সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর জানিয়েছে।
উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান বলেন, “কোভিড-১৯ উদ্ভূত পরিস্থিতি বিবেচনায় একুশে উদযাপনের জন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আগত সকলকে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধান করতে হবে। মাস্ক পরিধান ছাড়া কেউ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবে না। এবছর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে জনসমাগম এড়িয়ে চলার বিষয়ে ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম অক্ষুন্ন রাখার স্বার্থে অমর একুশে উদযাপন উপলক্ষ্যে সব কর্মসূচি সুশৃঙ্খল, সুষ্ঠু ও সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য উপাচার্য সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
সভায় একুশে উদযাপনে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর প্রতিনিধি, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) এ এস এম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, সিনেট-সিন্ডিকেট সদস্য, রেজিস্ট্রার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন হলের প্রভোস্ট, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, বিভিন্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক, প্রক্টর, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারী সমিতির প্রতিনিধিরা সভায় অংশ নেন।
সভায় শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২১ উদযাপনের কর্মসূচি সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. রহমত উল্লাহকে সমন্বয়ক, সমিতির সহ-সভাপতি সাবিতা রিজওয়ানা রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মো. নিজামুল হক ভূঁইয়াকে যুগ্ম-সমন্বয়ক এবং প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানীকে সদস্য-সচিব করে ‘অমর একুশে উদযাপন কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটি’ গঠন করা হয়েছে।
এ ছাড়া অমর একুশের আয়োজন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনে বিভিন্ন উপ-কমিটিও গঠন করা হয়।