ব্রিটেনে নতুন প্রজাতির করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ার পর এবার তা শনাক্ত হয়েছে হংকংয়ে। সম্প্রতি ব্রিটেন ফেরত দুই হংকং শিক্ষার্থীর শরীরে ভাইরাসটি চিহ্নিত হয়েছে।
স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) হংকংয়ের স্বাস্থ্য সুরক্ষা কেন্দ্রের সংক্রামক রোগ শাখার প্রধান ডা. চুয়াং শুক-কুয়ান এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘ব্রিটেনের ‘এশিয়ান ফাইনানশিয়াল হাব’ থেকে ফেরার পর দুই শিক্ষার্থী করোনায় আক্রান্ত হন। তাদের শরীরে পাওয়া নমুনার সঙ্গে ইউরোপের নতুন ধরণের করোনাভাইরাসের মিল পাওয়া গেছে। তবে এ বিষয়ে আরো পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে, দক্ষিণ আফ্রিকায় শুরু হওয়া করোনাভাইরাসের এ নতুন প্রজাতি এখন পর্যন্ত ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ডস ও অস্ট্রেলিয়াতে শনাক্ত হয়েছে। নতুন ধরণের এই ভাইরাসে বিশেষ করে শিশুরাও সংক্রমণের শিকার হতে পারে এমনটাই ধারণা চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের। তাই নতুন প্রকৃতির এই ভাইরাস সম্পর্কে জানার তাগিদ দিচ্ছেন ভাইরোলজিস্ট বা ভাইরাস বিশেষজ্ঞরা।
ব্রিটেনে সম্প্রতি করোনার টিকা প্রয়োগ শুরু হওয়ার পর থেকে রাজধানী লন্ডনসহ দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্বে প্রকোপ দেখা দিয়েছে নতুন ধরনের করোনা ভাইরাসের। যার তাণ্ডব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে দেশটিতে। এমতাবস্থায় জারি করা হয়েছে লকডাউন। এমনকি বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ যুক্তরাজ্যের সঙ্গে এক সপ্তাহের জন্য সবধরনের যোগাযোগ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা বলছেন, ভাইরাসের চরিত্র বদলানো নতুন কিছু নয়। চলমান করোনাভাইরাসেরও বিভিন্ন প্রজাতি আছে। তবে এখন পর্যন্ত সেই প্রজাতিগুলোর মধ্যে আর বেশি ক্ষতিকারক কিছু দেখা যায়নি। কিন্তু নতুন করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, তা আগের তুলনায় অনেক বেশি ছোঁয়াচে, যা ভয়ংকরভাবে দ্রুতগতিতে ছড়াচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা এমনিতেই মারাত্মক। ফলে করোনা হলে তাতে জীবনের ঝুঁকি থাকে। সে জন্যই দ্রুত করোনা ছড়ালে তা আরো মারাত্মক হয়ে উঠতে বাধ্য।