পিলখানা হত্যাকাণ্ডের উল্লেখ না করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়।
আজ সকালে বিজিবি এআর উইংয়ের জন্য কেনা দুইটি এমআই-১৭১-ই হেলিকপ্টারের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের পিলখানায় ওই হেলিকপ্টার দুইটি উদ্বোধন করেন। দুই বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ ও মুন্সি আব্দুর রউফের নামে হেলিকপ্টার দুইটির নামকরণ করা হয়েছে।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বিপথগামী বিডিআর সদস্যদের হাতে প্রাণ হারান ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন। এ ঘটনার পর বাহিনীর নাম পরিবর্তন করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৮ সালে নির্বাচনে জয়ী হয়ে আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি। এর মধ্যে কিছু ঘটনা ঘটেছে, যেটা অনাকাঙ্ক্ষিত। এ ধরনের ঘটনা আর ঘটুক সেটা আমরা চাই না। অনেক প্রাণ ঝরেছে। যারা মারা গেছে তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।’
তিনি বলেন, ‘যারা এ ধরনের হত্যার সঙ্গে জড়িত তারা নিজেদেরও যেমন ক্ষতি করেছে, বাহিনীরও ক্ষতি করেছে, দেশেরও ক্ষতি করেছে। আমি আশা করব, ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে।’
ওই সময় তিনি করোনা ভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দায়িত্ব পালন করার জন্য বিজিবি সদস্যদের পরামর্শ দেন।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বিজিবিকে ‘ত্রিমাত্রিক বাহিনী’ হিসেবে ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, ‘বিজিবি এখন ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে উন্নীত হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে হেলিকপ্টারের কথা আমি নিজেই উদ্যোগী হয়ে বলেছিলাম, যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
‘পাবর্ত্য চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন দুর্গম এলাকার নিরাপত্তা দেয়া একান্ত দরকার। সে কারণেই আমরা হেলিকপ্টার ক্রয় করে দিয়েছি। সবচেয়ে বড় কথা আমরা মুজিববর্ষ উদযাপন করছি। এই মুজিববর্ষেই বিজিবি তাদের দুটি হেলিকপ্টার পেল যা অত্যন্ত গৌরব ও আনন্দের।’