প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, একসময় টিকা দেয়া নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকলেও এখন আর কোনো সমস্যা নেই। সবাই আগ্রহ নিয়ে টিকাকেন্দ্রে যাচ্ছেন। একেবারে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের সবাইকে টিকা দেয়া হবে। তিনি বলেন, করোনাভাইরাস মোকাবিলার জন্য যা করা দরকার, তা করায় মহামারী অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ রোববার ‘কুমুদিনী ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্স অ্যান্ড ক্যানসার রিসার্চ’ নামে নারায়ণগঞ্জে একটি ক্যানসার রিসার্চ সেন্টার ও হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন।
তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে নারায়ণগঞ্জে অনুষ্ঠিত মূল অনুষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত হন।
সরকার প্রধান বলেন, করোনাভাইরাস আসার পর সাত দিনের মধ্যে তাঁরা দুই হাজার চিকিৎসক, ছয় হাজার নার্স ও টেকনিশিয়ান নিয়োগ দিয়েছেন। ভবিষ্যতে আরো নিয়োগের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
করোনাভাইরাস মোকাবিলার জন্য যা যা করা দরকার, তাঁর সরকার তা করে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমাদের এই পদক্ষেপের ফলে আজকে করোনাভাইরাস অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’
এ সময় প্রথম টিকা গ্রহণকারী কুমুদিনী হাসপাতালের সিনিয়র নার্স বেরোনিকা ডি কস্তাকেও আন্তরিক ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, একসময় টিকা দেয়া নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকলেও এখন আর কোনো সমস্যা নেই। সবাই আগ্রহ নিয়ে টিকাকেন্দ্রে আসছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বলে দিয়েছি, ৪০ বছরের ওপরে যাঁরা, তাঁরা টিকা পাবেন। আইডি কার্ড সাথে নিয়ে গেলে তাঁরা ফরম পাবেন। রেজিস্ট্রেশনও করতে পারবেন। গতকালও প্রায় ১ লাখ ৯৪ হাজার মানুষ টিকা নিয়েছেন। আমরা ৩ কোটি টিকা কিনে রেখেছি। একেবারে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের সকলকেই আমরা টিকা দেব।’