
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে নতুন করে কড়া বিধিনিষেধের ঘোষণা দিয়েছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী জুসেপ্পে কোনতে। স্থানীয় সময় রোববার বিকেলে তিনি এ ঘোষণা দেন।
জুসেপ্পে বলেন, ‘নতুন করে লকডাউন এড়িয়ে চলতে কড়া বিধিনিষেধ দরকার। প্রথম লকডাউনের প্রভাব আমাদের অর্থনীতিতে মারাত্মকভাবে পড়েছিল। আমরা সময় নষ্ট করতে চাই না। সরকার কাজ করছে। একইসঙ্গে সবাইকে তাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মাস্ক পরা, শারীরিক দূরত্ব মেনে চলা ও হাত পরিষ্কার রাখার মতো মৌলিক সতর্কতা করোনা ঠেকাতে সবচেয়ে কার্যকর পদক্ষেপ। আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানোর সময় খেয়াল রাখতে হবে কোন কোন পরিস্থিতিতে আমাদের সতর্ক হওয়া উচিত। এসব ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্ক হওয়া দরকার।’
নতুন বিধিনিষেধে রাত ৯টার পর জনপরিসর বন্ধ রাখতে বিভিন্ন অঞ্চলের মেয়রদের ক্ষমতা দেয়া হবে বলে ঘোষণায় বলা হয়েছে।
রাত ১২টার পর বার ও রেস্তোরাঁ বন্ধ থাকবে। সন্ধ্যা ৬টার পর শুধু টেবিল সার্ভিস চালু থাকবে। এ সময় এক দলে সর্বোচ্চ ছয় জন থাকতে পারবেন।
ঘোষণায় আরও বলা হয়েছে, স্কুলের সময়সূচিতে পরিবর্তন আনা হবে। দেরিতে স্কুল খুলবে ও আরও বেশি দূরত্ব মেনে শিক্ষা কার্যক্রম চালানো হবে। এ ছাড়া স্থানীয় পর্যায়ের সম্মেলন ও উৎসব স্থগিত থাকবে। অপেশাদার খেলাধুলা বন্ধ থাকবে। সাত দিনের মধ্যে জিম ও সুইমিং পুলগুলোকে নতুন নিয়মের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে।
পরপর দুই দিন দৈনিক সংক্রমণের হার সর্বোচ্চ হওয়ার পর এ বিধিনিষেধ আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইতালি সরকার। দেশটিতে রোববার ১১ হাজার ৭০৫ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হন। এর আগের দিন যা ছিল ১০ হাজার ৯২৫।
করোনার প্রথম ধাক্কায় ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছিল ইতালিতে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা চার লাখ ১৪ হাজার। মারা গেছেন ৩৬ হাজার ৫০০ জন।
করোনায় মৃত্যুর দিক থেকে ইউরোপে যুক্তরাজ্যের পরই ইতালির অবস্থান।