
বাংলাদেশ রেফারেন্স ইনস্টিটিউট ফর কেমিক্যাল মেজারমেন্টসের (বিআরআইসিএম) উদ্ভাবিত করোনারোধী ’বঙ্গসেফ ওরো-নাজাল স্প্রে’-র নাজালের দাম ১০০ টাকা।
এ নাজাল স্প্রে’র অনুমোদন পেতে বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদে (বিএমআরসি) আগামীকাল সব কাগজ জমা দেয়া হবে বলে জানিয়েছে বিআরআইসিএম। আজ বুধবার রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবে এক জরুরী সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মালা খান।
তিনি বলেন, কোনোভাবে নাকে ও মুখে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি থাকলে সেখানে এই ‘নাজাল স্প্রে’ ব্যবহার করলে সেগুলো মরে যাবে। একবার স্প্রে করার পর নাক ও মুখ অন্তত তিন ঘণ্টা সুরক্ষিত থাকবে। স্প্রেটির নাম দেয়া হয়েছে ‘বঙ্গসেফ ওরো-নাজাল স্প্রে’। এর বাজার মূল্য ১০০ টাকা।
আরো জানান, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের সঙ্গে যৌথ গবেষণায় এ স্প্রে উদ্ভাবন করা হয়েছে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত ২০০ রোগীর ওপর এই স্প্রের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালানো হয়েছে। ট্রায়ালে ‘খুবই আশাব্যঞ্জক’ ফল পাওয়া গেছে। স্প্রেটি দ্রুত মানুষের ব্যবহারের পর্যায়ে নিয়ে আসার জন্য কাজ চলছে বলে জানান তিনি।
স্প্রের কার্যকারিতা সম্পর্কে মালা খান বলেন, করোনাভাইরাস আমাদের দেহে প্রবেশের পথ হলো নাক, মুখ ও চোখ। আমাদের স্প্রে নাক ও মুখে ব্যবহার উপযোগী। আমরা যদি কোনোভাবে নাক ও মুখে থাকা ভাইরাস কিল করতে পারি তাহলে এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঝুঁকি থেকে মুক্ত থাকতে পারব। একবার স্প্রে করার পর তা ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা পর্যন্ত কার্যকর থাকে।
স্প্রে ব্যবহারে কোনো ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই বলেও জানান তিনি। বলেন, ডাক্তারেরা নিজেরাই এই স্প্রে ব্যবহার করেছেন। এতে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।
কবে বাজারে পাওয়া যাবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, প্রথমে বিএমআরসি ও ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অনুমোদনের পর বাজারে স্প্রেটি পাওয়া যাবে। এটা কোনো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান নয়। উৎপাদনের যা খরচ হবে সেই মূল্য জনগণের কাছ থেকে নেয়া হবে। সব মিলিয়ে ১০০ টাকায় পাওয়া যাবে।
বিশ্বের অন্য কোনো দেশে এ ধরনের স্প্রে উত্পাদন করা হয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে মালা খান বলেন, করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রে সর্বপ্রথম আমরাই এই স্প্রে উদ্ভাবন করেছি। তবে অন্য কোনো রোগের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের স্প্রে বাজারে রয়েছে।
গবেষণা কাজে কারা অংশ নিয়েছে জানতে চাইলে মালা খান জানান, ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালে সাবেক পরিচালকের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসির উদ্দিন তত্ত্বাবধায়নে ও নাক কান গলা বিশেষজ্ঞ ডা, আরফিন এর নেতৃত্বে ঢাকা মেডিক্যালে একাধিক ডাক্তার এ কাজের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।