ক্রীড়া

করোনায় লণ্ডভণ্ড বাংলাদেশের ক্রিকেট

শামীম চৌধুরী:

গেল বছরটা অন্য বছরগুলোর চেয়ে একটু বেশি ব্যস্ততায় কেটে যাওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশের ক্রিকেটের। অক্টোবর-নভেম্বরে আইসিসি টি-২০ বিশ^কাপ, সেপ্টেম্বরে এশিয়া কাপ ছাড়াও আইসিসির ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রামে (এফটিপি) ঠাসা ছিল বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট।
দ্বিপক্ষীয় সিরিজে লম্বা বিরতি দিয়ে টেস্ট খেলার সুযোগ নিয়ে যে আক্ষেপ ছিল মুমিনুলদের, সেই আক্ষেপটা করার কথা ছিল না ২০২০ সালে। আইসিসি প্রবর্তিত টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের কারণেই এই বছরটিতে বাংলাদেশের জন্য বরাদ্দ ছিল ১১টি টেস্ট। বছরওয়ারি হিসেবে এক বছরে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ টেস্ট খেলার রেকর্ডটা হওয়ার কথা ছিল।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্যস্ততার কথা মাথায় রেখে কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা ক্রিকেটারদের বেতন এক লাফে অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে বিসিবি। অংকটা ৫০ শতাংশেরও বেশি। মুশফিক, তামিমদের মাসে বেতন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ টাকা। টেস্টে ম্যাচ ফি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ টাকায়! বেতন, ম্যাচ ফি থেকেই একেকজন ক্রিকেটার কোটি টাকা আয় নিশ্চিত করতে পারতেন বছরটিতে।
বছরের শুরুতে লিটন দাস, তামিম যেভাবে রেকর্ডের পর রেকর্ড দিয়ে শুরু করেছিলেন, বছরজুড়ে সমর্থকদের উৎসবের কেন্দ্রে থাকার সে বার্তাটাই দিয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। এখানে খেতে হলো বড় ধাক্কা। করোনা ভাইরাসে একটি বছর ল-ভ- হলো বাংলাদেশের ক্রিকেট। টি-২০ বিশ^কাপ এবং এশিয়া কাপের নির্ধারিত দুটি আসর ছাড়া বছরটিতে বাংলাদেশের জন্য নির্ধারিত ছিল ১১ টেস্ট, ৭ ওয়ানডে, ১০ টি-২০ ম্যাচ। করোনা ঝড়ে তা কমে দাঁড়িয়েছে ২ টেস্ট, ৩ ওয়ানডে, ৪ টি-২০ এ!
মার্চের শুরুতে করোনার ভয়াবহ বিস্তারে ক্রিকেটের ওপর আঘাত আঁচ করা গেছে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-২০ সিরিজে। বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থা নির্দেশিত সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার শর্ত মেনে ২৫ হাজার আসনবিশিষ্ট শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ৫ হাজারের বেশি টিকিট বিক্রি করেনি বিসিবি ওই দুই ম্যাচে।
এ বছর পুলহীন, বিদেশি ক্রিকেটারহীন উন্মুক্ত দল-বদলে রেকর্ড ৬০ লাখ টাকায় আবাহনীতে বিক্রি হয়েছেন মুশফিকুর রহিম। তামিম, মাহমুদউল্লাহদের সম্মানীও ছিল কাছাকাছি। মিডিওকার ক্রিকেটারদের সম্মানীর অংকও ২৫ থেকে ৩০ লাখের ঘরে। জৌলুসময় ক্লাব ক্রিকেটের আভাসই ছিল। অথচ করোনার প্রথম ধাক্কাটা লেগেছে সেই ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের গায়ে। দারুণ একটা স্লটে লিগের শুরু এবং নিরবচ্ছিন্নভাবে লিগ সম্পন্ন করার যে স্বপ্ন ছিল, সে স্বপ্ন ভঙ্গের বেদনায় বছরজুড়ে ক্রিকেটারদের আর্তি শুনতে পেয়েছে মিডিয়া।
করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে এক রাউন্ড শেষে স্থগিত হয়েছে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন। এক বছর পেরিয়ে গেলেও স্থগিত প্রিমিয়ার ডিভিশন শুরু করার উপায় খুঁজে পাচ্ছে না বিসিবি। বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তির ১৭ জন ক্রিকেটারের জন্য করোনার ধাক্কা যতটা না উদ্বিগ্নের, অন্যদের জন্য তা শঙ্কার। ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগই তাদের রুটিরুজির অন্যতম মাধ্যম। প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ স্থগিত হওয়ায় অধিকাংশ ক্রিকেটার চুক্তির ২৫ শতাংশ বুঝে পাননি। ২০১৯-২০ মৌসুমের ক্রিকেট ২০২০-২১ মৌসুমেও অনিশ্চিত! অনিশ্চিত তাদের আর্থিক সংস্থান।
করোনার ধাক্কায় ২০২০ সালে স্থগিত হয়েছে বাংলাদেশের ৫টি সিরিজ- দুটি হোম, তিনটি অ্যাওয়ে। অস্ট্রেলিয়ার দেখাদেখি নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটও বাংলাদেশ সফরকে ‘না’ বলেছে। যুক্তরাজ্যে করোনা মহামারী রূপ ধারণ করায় বাংলাদেশ দলকে আতিথ্য দেয়া সম্ভব নয় বলে আয়ারল্যান্ড ক্রিকেট জানিয়ে দিয়েছে। অক্টোবরে টি-২০ বিশ^কাপকে সামনে রেখে নিউজিল্যান্ড সফরে টি-২০ সিরিজ খেলার কথা ছিল বাংলাদেশের। টি-২০ বিশ^কাপ স্থগিত হওয়ায় অটোমেটিকভাবে টি-২০ সিরিজও হয়েছে স্থগিত।
এফটিপিতে জুনে ছিল শ্রীলংকা সফর, করোনার বিস্তারে তা পিছিয়ে নির্ধারিত হয়েছিল অক্টোবর-নভেম্বরে। তিন ম্যাচের পূর্বনির্ধারিত টেস্ট সিরিজের সূচিও হয়েছিল প্রকাশ। প্রস্তুতি ছিল বাংলাদেশ দলের শ্রীলংকা সফরের। ক্রিকেটের বাইরে লম্বা সময় কাটানোয় জৈব সুরক্ষা বলয়ের এ সফরে বিশাল বহর পাঠানোর পরিকল্পনা ছিল বিসিবির। চার্টার্ড ফ্লাইটে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে হাই পারফরম্যান্স স্কোয়াডকে পাঠিয়ে সফরের পরিকল্পনা করে রেখেছিল বিসিবি। আইসিসির এক বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে সাকিবের ফেরার কথা ছিল এই সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে। তবে করোনা বিস্তার রোধে বিশে^ অন্যতম মডেল হিসেবে উপস্থাপন করা শ্রীলংকার পক্ষ থেকে জুড়ে দেয়া হয়েছে কঠিন সব শর্ত। বহরটি কোনোভাবেই ৩০ জনের বেশি হতে পারবে না, বাংলাদেশ দলের বাইরে কাউকে আতিথ্য দেয়া হবে না এবং ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনকালে টিম হোটেলের বাইরে বেরোনো যাবে না! একটার পর একটা কঠোর শর্ত জুড়ে দেয়ায় আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ এই সফরটি স্থগিত করেছে বিসিবি।
এরপরও করোনাকালে ক্রিকেট ফিরেছে বাংলাদেশে। করোনা মহামারীর মধ্যে জৈব সুরক্ষা বলয়ে ক্রিকেটকে ফিরিয়ে এনে সবার আগে প্রশংসিত ভূমিকা রেখেছে ইংল্যান্ড। জুলাইয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরিয়ে এনেছে তারা। তাদের দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে ক্রিকেট ধীরে ধীরে ফিরেছে বিশ^ময়। ভারতে করোনার বিস্তার ভয়াবহ বলে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) আয়োজন করা হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। বিলম্বে হলেও করোনাকালে জৈব সুরক্ষায় বাংলাদেশে ফিরেছে ক্রিকেট। স্থগিত থাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগকে উপেক্ষা করে অক্টোবরে ৩ দলের বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপ নিয়ে ফিরিয়ে এনেছে ক্রিকেট। নভেম্বর-ডিসেম্বরে বিপিএলের আদলে মাঠে গড়িয়েছে ৫ দলের অংশগ্রহণ বঙ্গবন্ধু টি-২০ কাপ স্পটফিক্সিংয়ের প্রস্তাব গোপন করে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ ছিলেন সাকিব। নিষেধাজ্ঞা পাশ কাটিয়ে ক্রিকেটে ফিরেছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার এই আসরের মধ্য দিয়ে।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশ ফিরেছে এ বছরের শুরুতে- জৈব সুরক্ষায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলকে আতিথ্য দেয়ার মধ্য দিয়ে। জৈব সুরক্ষায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আয়োজনে সক্ষম বাংলাদেশ, তা জানিয়ে দিতে পেরেছে বিসিবি এই সিরিজের সফল সমাপ্তিতে।
ওয়ানডে ক্রিকেটে ব্যাটিংয়ে পরাশক্তিদের কাতারে উঠিয়ে আনার নেপথ্য কারিগর দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক ক্রিকেটার নিল ম্যাকেঞ্জি। করোনায় ভয়ে বাংলাদেশকে গুডবাই বলেছেন এ ব্যাটিং পরামর্শক। তার বদলে ব্যাটিং পরামর্শক হিসেবে নিউজিল্যান্ডের সাবেক ক্রিকেটার এবং কোচ ক্রেইগ ম্যাকমিলানের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল বিসিবি। তিনিও করোনার ভয়ে বাংলাদেশকে ‘না’ বলেছেন। বাংলাদেশ দলের স্পিন বোলিং পরামর্শক হিসেবে বিসিবির সঙ্গে ১০০ দিনের জন্য চুক্তিবদ্ধ কিউই লিজেন্ড ড্যানিয়েল ভেট্টোরি। সম্মানীর অংকটা দিনে ৩ হাজার ডলার। অথচ কি জানেন, করোনার ভয়ে এক বছর তিনি অবস্থান করছেন নিউজিল্যান্ডে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজে বাংলাদেশ দল পায়নি তার সার্ভিস।
করোনায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সূচি শুধু ল-ভ-ই হয়নি, বাংলাদেশের ক্রিকেট পেয়েছে বড় লজ্জাও। করোনা সংক্রমণের ভয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেরা ১০ ক্রিকেটার বাংলাদেশ সফরকে ‘না’ বলেছেন। তৃতীয় সারির ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলকে বাগে পেয়ে তাদেরকে হোয়াইটওয়াশে আইসিসি ওয়ানডে সুপার লিগে দারুণ সূচনা করেছে বাংলাদেশ। এই ভাঙাচোরা দলটিই টেস্টে বাংলাদেশ দলকে দিয়েছে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা! চতুর্থ ইনিংসে ৩৯৫ চেজ করে জেতা সহজ নয়, সেই দুরূহ চ্যালেঞ্জে পর্যন্ত সফল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এমন লজ্জায় বিসিবি প্রধান ভীষণ চটেছেন ক্রিকেটার এবং কোচিং স্টাফের ওপর। মিডিয়ায় তার প্রতিটি বক্তব্য নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হয়েছে সমালোচনা।
এক বছর পর প্রতীক্ষিত টেস্টে অবতীর্ণ হওয়ার আগে দীর্ঘ পরিসরের আসর জাতীয় লিগ, বিসিএল দূরে থাক, নিজেদের মধ্যেও একটি দীর্ঘ পরিসরের ম্যাচ খেলেনি বাংলাদেশ দল। ৫০ ওভার ও ২০ ওভারের ম্যাচ খেলে ৫ দিনের ম্যাচে নামিয়ে দেয়া হয়েছে মুমিনুল, মুশফিক, তামিম, সাকিবদের। টেস্ট স্কোয়াডে নেই বলে সৌম্য ছিলেন ঘোরাঘুরির মধ্যে- সেই সৌম্যকে ম্যাচের আগের দিন নেট দেখে নামিয়ে দেয়া হলো টেস্টে! দোষটা কার- ক্রিকেটারের, না বিসিবির ?
২০০৯ সালে লাহোরে শ্রীলংকা ক্রিকেট দলের ওপর সশস্ত্র হামলার ঘটনায় পাকিস্তান নিজেদের মাঠে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কাটিয়েছে দীর্ঘ নির্বাসন। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট হয়ে সেদেশের মাটিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরিয়ে এনেছেন এহসান মানি। জিম্বাবুয়ে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, শ্রীলংকা খেলেছে পাকিস্তানে ক্রিকেট। তাদের দেখাদেখি বাংলাদেশ দলকেও পাঠিয়েছে ২০২০ সালের শুরুতে বিসিবি। এবং তা বাধ্য হয়ে। আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের সূচি বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর বিশে^র সর্বোচ্চ ক্রিকেট সংস্থা। অথচ পাকিস্তান সফর নিয়ে গড়িমসি বিসিবির। পরিস্থিতির মুখে আইসিসিতে শুধু নালিশই করেনি পিসিবি, বিসিবি প্রধানকে আইসিসিতে যেতে বাধ্য করেছে। সেখানেই হয়েছে ফয়সালা। পাকিস্তান সফরে যেতে বাধ্য হয়েছে বিসিবি। তবে ২ ম্যাচের টেস্ট এবং ২ ম্যাচের টি-২০ সিরিজ একবার না খেলে তিন দফায় পাকিস্তান সফরের সিদ্ধান্ত বড় ধাক্কা দিয়েছে বিসিবিকে। প্রথমবার ২ ম্যাচের টি-২০ সিরিজ খেলতে চার্টার্ড ফ্লাইটে লাহোর সফর হয়েছে ব্যয়বহুল। দ্বিতীয় দফায় রাওয়ালপিন্ডিতে একটি টেস্ট, সেই সফরটিও ব্যয়বহুল। অবশিষ্ট টেস্টটি এখনও অনির্ধারিত! একটি সফরকে তিন ভাগ করায় শুধু আর্থিক ক্ষতিই হয়নি, তা ক্ষতি ডেকে এনেছে বাংলাদেশের ক্রিকেট সূচিতেও।
২০২০ সালে আইসিসির এফটিপিতে ছিল না জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফর। আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে অংশগ্রহণকারী ৯টি দেশের মধ্যে নেই জিম্বাবুয়ে। অথচ সেই দলটিকে নিজেদের টাকায় উড়িয়ে এনে ১ টেস্ট, ৩ ওয়ানডে, ২টি-২০ সিরিজ আয়োজন করেছে বিসিবি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শতভাগ সাফল্য পেয়েও তৃপ্তির ঢেঁকুর তোলার উপায় আছে? যে দলটি এখন বিশ^কাপে খেলার যোগ্যতা হারিয়েছে, হারিয়েছে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে খেলার যোগ্যতা- টাকা খরচ করে তাদেরকে আতিথ্য দেবে কেন বিসিবি? তাদেরকে ডেকে এনে লাভ হয়েছে ক্রিকেটারদের। লিটন, তামিমের একটার পর একটা রেকর্ড- মুশফিকুরের ডাবল সেঞ্চুরিতে মজেছে সমর্থকরা। ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা অধিনায়ক মাশরাফিকে ফেয়ারওয়েল দেয়ার মঞ্চ তৈরি করতে পেরেছে বিসিবি, এখানে অবশ্য বিসিবিকে দিতে হবে বাহাবা।
তবে পাকিস্তানে একাধিকবার সফর এবং জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দলকে আতিথ্য দিয়ে বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেট এলোমেলো করে দিয়েছে বিসিবিই। আইসিসির এফটিপিতে ফাঁকা স্লট থাকায় ২০২০ সালের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে মাঠে গড়ানোর কথা ছিল ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ। সেই পরিকল্পনায় হাঁটলে মার্চের প্রথম সপ্তাহে শেষ হতে পারত ঘরোয়া ক্রিকেটে অন্যতম আকর্ষণীয় আসরটি। ক্লাব থেকে সব পাওয়া বুঝে নিয়ে করোনাকালে দুশ্চিন্তা নিয়ে দিন কাটাতে হতো না ক্রিকেটারদের। অথচ সেই লিগটিই মাঠে গড়িয়েছে ২০২০ সালের ১৫ মার্চ, স্থগিত হয়েছে পরদিন। তাতেই আয়ের পথ রুদ্ধ হওয়ায় কপালে দুর্ভাবনার ভাঁজ পড়েছে ক্রিকেটারদের।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button