২০২১ সালের জন্য নিজেদের কেন্দ্রীয় চুক্তি এখনও ঘোষণা করেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সেটি প্রকাশের আগে আলোচনা শুরু হয়েছে সাকিব আল হাসানকে নিয়ে।
নিষিদ্ধ থাকায় ২০২০ সালের বিসিবির চুক্তিতে ছিলেন না সাকিব। এবার তার ফেরার কথা লাল ও সাদা দুই বলের চুক্তিতে।
কিন্তু এপ্রিলের শ্রীলংকায় টেস্ট সিরিজের বদলে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) বেছে নেয়া সাকিবের লাল বলের চুক্তিতে থাকা নিয়ে এসেছে প্রশ্ন।
বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান ইতিমধ্যে জানিয়েছেন, সাকিব টেস্ট খেলতে অনাগ্রহী ৩ বছর আগে থেকে।
সাকিবের এমন সিদ্ধান্তের পর বিসিবিও নিয়েছে সিদ্ধান্ত। এখন থেকে জোর করে কোনো ক্রিকেটারকে জাতীয় দলে ডাকা হবে না বলে জানান বিসিবি সভাপতি।
‘চুক্তিতে পরিস্কার লেখা থাকবে, যে কে কোন ফরম্যাট খেলতে চায়। এটাও জানাতে হবে তাদের যদি ঐ সময়ে অন্য কোন খেলা থাকে তাহলে সেখানে খেলবে নাকি দেশের হয়ে খেলবে। এই চুক্তিতে যারা সই করবে তাদের যেতে দিব না। আগে এটা ছিল ব্যক্তির ওপরে, এখন আমরা কাগজে কলমে লিখিত নিয়ে নেব’, বলেন বিসিবি সভাপতি।
সভাপতি আরও জানান, সাকিবকে না যেতে দিলে সে হয়ত জোর করে খেলত। কিন্তু বিসিবি সেটি করতে চায়না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা চাই খেলাটাকে ভালোবেসেই খেলুক। জোর করে খেলাতে চাইনা।’
বিসিবি সভাপতি বলেন, কেউ চাইলে তাকে ছুটি দিতে রাজি তারা। তবে তা জানাতে হবে আগে। সফরের আগে আগে জানালে চলবে না। ‘ওরা সবাই যদি লিখে দেয় আমরা কেউ জাতীয় দলের হয়ে খেলতে চাই না, আমি এখনই রাজি। তবে আমাকে অবশ্যই জানতে হবে। সফরের আগে যেয়ে বললে হবে না। একটা বছর সময় চাই। একবছর পরে কাউকে লাগবেও না, কোন অসুবিধা নেই’, বলেন তিনি।
আপাতত চুক্তির বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। বাংলাদেশ দলের মনোযোগ নিউজিল্যান্ডে। মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় তিন ওয়ানডে ও তিন টেস্ট খেলতে নিউজিল্যান্ড যাচ্ছে পুরো স্কোয়াড।