যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ক্ষেত্রে অনেকের গ্রিন কার্ডের আবেদন বন্ধের ঘোষণা দিয়েছিলেন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ক্ষমতা নেয়ার দুই মাসের মধ্যে সে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
স্থানীয় সময় বুধবার তিনি এ নিষেধাজ্ঞা তোলেন।
গত বছর গ্রিন কার্ড আবেদনকারীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দেন ট্রাম্প। তার বক্তব্য ছিল, মহামারির কারণে বেকারত্বের হার বেড়ে যাওয়ায় নিজেদের শ্রমিক রক্ষায় এ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন। ট্রাম্পের যুক্তিকে নাকচ করে দিয়ে ভিসার ওপর নিষেধাজ্ঞা বাতিল করেন বাইডেন।
বাইডেন বলেন, ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞার ফলে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত পরিবারের সদস্যদের থেকে বিছিন্ন হয়ে পড়ছেন অনেকে। এ ছাড়া এর ফলে ব্যবসা-বাণিজ্যেরও ক্ষতি হচ্ছে।
নির্বাচনের সময় ট্রাম্পের বেশ কিছু কঠোর অভিবাসন নীতি বাতিলের অঙ্গীকার করেছিলেন বাইডেন। অভিবাসীদের অধিকার নিয়ে কাজ করা অনেকে সম্প্রতি ভিসার ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে বাইডেনকে চাপ দেয়। ৩১ মার্চ এসব ভিসার মেয়াদ শেষ হচ্ছে।
ক্যালিফোর্নিয়ার অভিবাসনবিষয়ক অ্যাটর্নি কার্টিস মরিসন বলেন, করোনায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বেশির ভাগ ভিসা কার্যক্রম বন্ধ থাকায় প্রচুর গ্রিন কার্ড আবেদন জমা পড়েছে। বাইডেনকে এখন এসব আবেদনের বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে। এসব সুরাহা করতে কয়েক বছর লেগে যেতে পারে। ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের কারণে আবেদনের স্তূপ পড়েছে। অভিবাসন ব্যবস্থাকে তিনি ধ্বংস করে দিয়েছেন।
এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কোনো মন্তব্য করেনি।
অবশ্য বিদেশি অস্থায়ী শ্রমিকদের একটি বড় অংশের ওপর আরোপ করা আরেকটি নিষেধাজ্ঞা এখনও বলবৎ রেখেছেন বাইডেন। গত বছরের অক্টোবরে ওইসব বিদেশি অস্থায়ী শ্রমিকের ওপর ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন ক্যালিফোর্নিয়ার কেন্দ্রীয় আদালতের এক বিচারক।
ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞার ফলে হাজারো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সেসব প্রতিষ্ঠান আদালতে ওই নিষেধাজ্ঞা নীতির বিরুদ্ধে মামলা করে।