চট্টগ্রাম নগরীতে গতকাল রাতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে একজন নিহতের ঘটনায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থী ও নগর যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আবদুল কাদেরকে (মাছ কাদের) তাঁর ২৫ অনুসারীসহ গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রাত ১০টা থেকে ১টা পর্যন্ত ২৮ নম্বর পাঠানটুলী ওয়ার্ডের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ। কাদেরকে নিজ বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সদীপ কুমার দাশ বলেন, গোলাগুলিতে আজগর আলী বাবুল নিহত হওয়ার ঘটনায় আমরা আবদুল কাদেরসহ ২৬ জনকে গ্রেফতার করেছি।
মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে পাঠানটুলীর মগ পুকুর এলাকায় প্রতিদ্বন্দ্বী দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের গোলাগুলিতে স্থানীয় মহল্লা সর্দার আজগর আলী বাবুল নিহত হন। একই ঘটনায় মাহবুব নামে আরেক কর্মী গুলিবিদ্ধ হন। এ ঘটনার জন্য নজরুল ইসলাম বাহাদুর আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী বিদ্রোহী প্রার্থী আবদুল কাদেরকে দায়ী করেছে।
নজরুল ইসলাম বাহাদুর বলেন, মগপুকুর এলাকায় গণসংযোগকালে বিদ্রোহী প্রার্থী আবদুল কাদেরের অনুসারীরা সশস্ত্র হামলা চালায়। এতে স্থানীয় মহল্লার সর্দার বাবুল গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। আমাকে বাঁচাতে গিয়ে এক পর্যায়ে যুবলীগ কর্মী মাহবুবও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।