
দেশের চলমান ছয় শিল্প খাতকে ‘শিশুশ্রম মুক্ত’ ঘোষণা করলো সরকার। এগুলো হলো রেশম, ট্যানারি, সিরামিক, গ্লাস, জাহাজ প্রক্রিয়াজাতকরণ, রপ্তানিমুখী চামড়াজাত দ্রব্য ও পাদুকা শিল্প।
গতকাল ৪ ফেব্রুইয়ারি বৃহস্পতিবার শ্রম ভবনে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান।
প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান বলেন, কেরানীগঞ্জে গেঞ্জি সেক্টরে এখনো শিশুদের বড় একটি অংশ কাজ করছে। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ঢাকা জেলা প্রশাসনকে এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিতে বলা হবে। তিনি বলেন, কেরানীগঞ্জে শিশুশ্রম বন্ধ করতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ২০১৯ সালের ২৯ জানুয়ারি জাতীয় শিশুশ্রম কল্যাণ পরিষদের সপ্তম সভার সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের সুপারিশ বিবেচনা করে নানা খাতকে সময় সময় শিশু শ্রমমুক্ত ঘোষণা করার সুপারিশ আসে। পরে তা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০১৯ সালে ‘জাতীয় মনিটরিং কোর কমিটি’ গঠন করা হয় এবং এই ছয় শিল্প খাতের মালিক পক্ষকে জানানো হয়। যার ফলে এসব খাতে কোনো শিশু শ্রমিক নেই এবং সংশ্লিষ্ট খাতের সমিতি থেকে প্রত্যয়ন পাওয়ার পর জাতীয় মনিটরিং কোর কমিটি এই ছয় খাতের বিভিন্ন কারখানা পরিদর্শন করে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, এর আগে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের পরিদর্শকরা কারখানা পরিদর্শন করে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দেয়। এ বিষয়ে জাতীয় মনিটরিং কোর কমিটি ছয়টি খাত পরিদর্শন করে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে ছয়টি প্রতিবেদন দাখিল করে। ঐ প্রতিবেদনে জানানো হয় যে তাদের পরিদর্শনের সময় এই ছয়টি খাতের কারখানার মালিকরা জানায় তাদের ওখানে আর কখনোই শিশু শ্রমিক নেওয়া হবে না। কোর কমিটিও তাদের পরিদর্শনে কোনো শিশু শ্রমিক সেখানে পায়নি। তাই এই ছয়টি খাতকে শিশুশ্রম মুক্ত ঘোষণা করলেন প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান।
২০২০ সালের অক্টোবরে ১০ মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে শিশুশ্রম নিরসনের লক্ষ্যে নয়টি কৌশলগত ক্ষেত্র চিহ্নিত করতে দায়িত্ব দেয় সরকার। এর পরিপ্রেক্ষিতে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ওই ছয় শিল্প খাতকে শিশুশ্রম মুক্ত ঘোষণা করল।