জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
গতকাল রোববার (৩১ জানুয়ারি) গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। এর আগে, ২৮ জানুয়ারি কমিশন নিবন্ধন বাতিল করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
আজ সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি ) ইসির যুগ্মসচিব এসএম আসাদাজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উল্লেখ্য, বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের শরিক জাগপার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন মরহুম শফিউল আলম প্রধান। দলটির বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান ও সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান।
এর আগে নির্বাচন কমিশন ২০১৪ সালের ২৪ জুলাই দলটির নিবন্ধন দিয়েছিল (নিবন্ধন নং ৩৬; ২৪-৭-২০১৪)। দলটির প্রতীক ‘হুক্কা’।
ইসি সূত্র জানায়, নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জাগপার নিবন্ধনের শর্ত পূরণ সংক্রান্ত তথ্যাদি চেয়ে ২০১৮ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত বেশ কয়েক দফায় চিঠি দেওয়া হয়। এ সব চিঠির প্রেক্ষিতে জাগপার পক্ষ থেকে দলিলাদি জমা দেওয়া হয়। তবে ইসির পক্ষ থেকে সেগুলো যাচাই করে সত্যতা পাওয়া যায়নি। সর্বশেষ ১৯ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশন দলটিকে ডেকে শুনানি করেন। ওই শুনানিতে তারা ইসির কাছে শর্ত পূরণে আরো কিছু সময় চান। তবে ইসি সেগুলোর তা নাকচ করে নিবন্ধন বাতিল করেছে।
নিবন্ধন বাতিল করে ইসির জারি করা গেজেটে বলা হয়, এক-তৃতীয়াংশ প্রশাসনিক জেলায় আবশ্যকীয় ভাবে কার্যকর দফতর থাকার শর্ত পূরণের ক্ষেত্রে দলটি মোট ১৮ জেলার কমিটির তালিকা জমা দেন। তবে কোনো জেলায় কোন দফতরের ঠিকানা দেয়নি অর্থাৎ জেলা পর্যায়ে তাদের কোনও কার্যকর দফতর নেই।
ফলে রাজনৈতিক দল নিবন্ধন বিধিমালা ২০০৯ এর বিধি এবং দা রিপ্রেজেন্টেশন অফ পিপল অর্ডার ১৯৭২ এর আর্টিকেল 90B (1)(a) (iii) এর শর্তাদি পালনে ব্যর্থ হওয়ায় কমিশন উক্ত দলের নিবন্ধন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
উল্লেখ্য ২০০৮ সালে ৪২টি রাজনৈতিক দলকে নিবন্ধন দেয় ইসি।পরবর্তী সময়ে ইসির নিবন্ধন শর্ত ভঙ্গ করায় ২০০৯ সালে ফ্রিডম পার্টির নিবন্ধন বাতিল করা হয়। ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন ও একই বছরের ২৯ অক্টোবর জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করা হয়। এরপর ২৯ নভেম্বর পিডিপি‘র নিবন্ধন বাতিল করা হয়। সর্বশেষে ৩১ জানুয়ারি জাগপার নিবন্ধন বাতিল করা হলো। বর্তমানে ইসির নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সংখ্যা কমে দাঁড়ালো ৩৭।