যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী পত্রিকা ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফোন কলের একটি অডিও ফাঁস হয়েছে। এতে ট্রাম্প নির্বাচনের ফল পাল্টে দেওয়ার জন্য জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের নির্বাচন কর্মকর্তাকে সরাসরি নির্দেশ দিয়েছেন। নির্দেশ না মানলে অনেক ঝুঁকির মধ্যে পড়বেন বলেও সেই কর্মকর্তাকে ফোনালাপে হুঁশিয়ার করেন ট্রাম্প।
২ জানুয়ারির এ দীর্ঘ ফোনালাপের অডিও ‘দি ওয়াশিংটন পোস্ট’ গতকাল রবিবার (৩ জানুয়ারি) প্রকাশ করলে যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে শুরু হয় তোলপাড়।
ট্রাম্পের ফোনালাপ থেকে জানা যায়, তিনি ব্র্যাড রাফেনসপারজারকে ১১ হাজারের বেশি ভোট কোনোভাবে খুঁজে বের করার জন্য বারবার বলছেন। যুক্তরাস্ট্র বিশেষ করে জর্জিয়ার জনগণ যে ক্ষুব্ধ তা উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, আবার গণনা করে ‘ভোট পাওয়া গেছে’ বলার মধ্যে কোনো ‘ভুল নেই’।
তিনি ফোনে বলছিলেন, ‘দেখ, আমি চাইছি যে কোনভাবে ১১ হাজার ৭৮০ ভোট খুঁজে বের করা হোক।’ এর ফলে, জো বাইডেনের চেয়ে এক ভোট বেশি হয়ে যাবে ও জর্জিয়ার নির্বাচনে তিনি যে জয়লাভ করেছেন, তা প্রমাণিত হবে। এমনিতেই নির্বাচনে তিনি জয়লাভ করেছেন বলে ফোনালাপে উল্লেখ করেন।
সেক্রেটারি অব স্টেটকে ট্রাম্পের কথার পরিপ্রেক্ষিতে এ সময় বলতে শোনা যায়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভুল তথ্যের ওপর ভিত্তি করে কথা বলছেন। রাজ্যের ভোট ঠিকই একাধিকবার গণনা করা হয়েছে। এখন ডোনাল্ড ট্রাম্পের কথায় নতুন ভোট খুঁজে পাওয়ার কাজ যে তিনি করবেন না, এমন কথা বিনয়ের সঙ্গে বলেন ব্র্যাড রাফেনসপারজার।
ব্র্যাড রাফেনসপারজারের ওপর রিপাবলিকান পার্টির লোকজন অসন্তুষ্ট বলে ট্রাম্প উল্লেখ করেন তাঁর ফোনালাপে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে এমন ব্যবহার রিপাবলিকানরা নাকি মেনে নিতে পারছেন না। ট্রাম্প এসময় আরো ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, ৫ জানুয়ারি জর্জিয়ায় দুই সিনেট নির্বাচনেও এর প্রভাব পড়বে। এখন তাঁর কথামতো ব্র্যাড রাফেনসপারজার যদি সব ঠিক করে দেয় তাহলে রিপাবলিকান পার্টির নেতারা সেক্রেটারি অব স্টেটকে ‘খুবই শ্রদ্ধা’ করবেন বলে ট্রাম্প বলেন।
ফোনকলের এক পর্যায়ে ট্রাম্প রাফেনসপারজারকে একটি ‘শিশু’ এবং ‘অসৎ অথবা অযোগ্য’ বলে উল্লেখ করেন। একপর্যায়ে তিনি এও বলেন, ব্র্যাড রাফেনসপারজার খুব বড় ঝুঁকি নিচ্ছেন।