প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের পৌরসভা নির্বাচনের মতো তৃতীয় ধাপের নির্বাচনেও মেয়র পদে জয়ের ধারা অব্যাহত রেখেছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত ও দলটির বিদ্রোহী প্রার্থীরা।
তৃতীয় ধাপে থাকা ৬৩ পৌরসভার মধ্যে ৬০টিতে মেয়র পদে নির্বাচন হয়। এর মধ্যে ৪৩টিতে বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা।
১৪টিতে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা।
তিনটি পৌরসভায় মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীরা।
শান্তিপূর্ণ ও দীর্ঘলাইনে দাঁড়িয়ে ভোটারদের ভোট দিতে দেখা গেছে। গতকাল শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ হয়। এরপর কেন্দ্রে কেন্দ্রে প্রার্থীদের এজেন্টদের উপস্থিতিতে ভোট গণনা শুরু হয়।
নৌকা প্রতীকে বিজয়ীরা
দিনাজপুরের হাকিমপুরে এন এম এম জামিল হোসেন চলন্ত, কুড়িগ্রামের উলিপুরে মামুন সরকার মিঠু, বগুড়ার শিবগঞ্জে তৌহিদুর রহমান মানিক ও নন্দীগ্রামে মো. আনিছুর রহমান, নওগাঁর ধামইরহাটে মো. আমিনুর রহমান, রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার কেশরহাটে মো. শহিদুজ্জামান, নাটোরের সিংড়ায় মো. জান্নাতুল ফেরদৌস, চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় মো. মতিয়ার রহমান, ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে মো. ফারুক হোসেন, যশোরের মণিরামপুরে কাজী মাহমুদুল হাসান মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।
নড়াইল সদরে আঞ্জুমান আরা ও কালিয়ায় মো. ওয়াহিদুজ্জামান (হীরা), খুলনার পাইকগাছায় সেলিম জাহাঙ্গীর, সাতক্ষীরার কলারোয়ায় মো. মনিরুজ্জামান, বরগুনা সদরে মো. কামরুল আহসান (মহারাজ) ও পাথরঘাটায় মো. আনোয়ার হোসেন আকন, ভোলার বোরহানউদ্দিনে মো. রফিকুল ইসলাম ও দৌলতখানে মো. জাকির হোসেন, বরিশালের গৌরনদীতে মো. হারিছুর রহমান ও মেহেন্দিগঞ্জে কামাল উদ্দিন খান নৌকা প্রতীক নিয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।
ঝালকাঠির নলছিটিতে আবদুল ওয়াহেদ খান, পিরোজপুরের স্বরূপকাঠীতে মো. গোলাম কবির, টাঙ্গাইল পৌরসভায় এস এম সিরাজুল হক আলমগীর, মির্জাপুরে সালমা আক্তার, ভূঞাপুরে মো. মাসুদুল হক মাসুদ, মধুপুরে মো. সিদ্দীক হোসেন, সখিপুরে মো. আবু হানিফ আজাদ, শরীয়তপুরের নড়িয়ায় আবুল কালাম আজাদ, মুন্সীগঞ্জ পৌরসভায় হাজি মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লব ও রাজবাড়ীর পাংশায় মো. ওয়াজেদ আলী নৌকা প্রতীক নিয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে মো. মনির উদ্দিন, শেরপুরের নকলায় মো. হাফিজুর রহমান ও নালিতাবাড়ীতে মো. আবু বক্কর সিদ্দিক, ময়মনসিংহের ভালুকায় এ কে এম মেজবাহ উদ্দিন, নেত্রকোনার দুর্গাপুরে মো. আলাউদ্দিন আলাল, কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে মো. শওকত উসমান, মৌলভীবাজারে মো. ফজলুর রহমান, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে মো. মীর হোসেন মীরু ও বরুড়ায় মো. বক্তার হোসেন, চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে আ স ম মাহবুব উল আলম, ফেনী সদরে নজরুল ইসলাম স্বপন, নোয়াখালীর হাতিয়ায় কে এম ওবায়েদ উল্যাহ ও লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে আবুল খায়ের পাটওয়ারী নৌকা প্রতীক নিয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।
আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী বিজয়ীরা
আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মেয়র পদপ্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন নীলফামারীর জলঢাকায় মো. ইলিয়াস হোসেন বাবলু, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে মো. মুকিতুর রহমান (রাফি), বগুড়ার ধুনটে এ জি এম বাদশাহ, চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুরে মো. মতিউর রহমান খান, রাজশাহীর তানোর উপজেলার মুণ্ডুমালা পৌরসভায় মো. সাইদুর রহমান, পাবনা পৌরসভায় মো. শরীফ উদ্দিন প্রধান, ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে মো. সহিদুজ্জামান, শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে আবুল বাশার চোকদার ও জাজিরায় মো. ইদ্রিস আলী মাদবর, ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে মো. আবদুস ছাত্তার ও গৌরীপুরে সৈয়দ রফিকুল ইসলাম, সিলেটের গোলাপগঞ্জে মো. আমিনুল ইসলাম ও জকিগঞ্জে আবদুল আহাদ এবং নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনীতে মো. খালেদ সাইফুল্লাহ মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।
বিএনপির বিজয়ীরা
তিনটি পৌরসভায় মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপি মনোনীত প্রার্থীরা। তাঁরা হলেন বগুড়ার গাবতলীতে মো. সাইফুল ইসলাম ও কাহালুতে মো. আব্দুল মান্নান এবং নওগাঁ পৌরসভায় মো. নজমুল হক।
এ ছাড়া কিশোরগঞ্জ পৌরসভায় স্থগিত থাকা একটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়। ওই কেন্দ্রের ফলসহ মোট ভোটে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. পারভেজ মিয়া আবার মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।
ভোটের আগে বিজয়ীরা
ভোট নেওয়ার আগে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে আওয়ামী লীগের এস এম মনিরুল হক তালুকদার, গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় শেখ তোজাম্মেল হক টুটুল ও কুমিল্লার লাকসামে আওয়ামী লীগের অধ্যাপক মো. আবুল খায়ের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।