
দুই বছরের মধ্যে জলাবদ্ধতা থেকে ঢাকাবাসীকে মুক্ত করার আশ্বাস দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নুর তাপস। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর জিরানী ও শ্যামপুর খালের বর্জ্য অপসারণ ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে মেয়র এ কথা বলেন।
মেয়র বলেন, ‘কিছু দিন আগেই স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে ঢাকার মধ্যে যে ১১টি খাল আছে তা ওয়াসা থেকে আমাদের দুই সিটি করপোরেশনকে দেয়া হয়েছে। ঢাকার জলাবদ্ধতার সবচেয়ে বড় কারণ বর্ষার পানি বের না হতে পারা। কিছু ভূমিদস্যু ও দখলদার এই খালগুলো বছরের পর বছর দখল করে রেখেছে। এ জন্য খাল পুনরুদ্ধার কার্যক্রম শুরু করেছে ডিএসসিসি। আগামী বর্ষার আগেই খাল দখলমুক্ত করবে সিটি করপোরেশন।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা স্বল্পমেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদী কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। আগামী এক মাসের মধ্যে একটা কমিটির মাধ্যমে এই কার্যক্রম বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে কাজ করা হবে। স্বল্পমেয়াদি কার্যক্রম আমরা নিজ অর্থায়নে আরম্ভ করে দিয়েছি।’
এর আগে সকাল ১০টায় জিরানী ও শ্যামপুর খালের বর্জ্য অপসারণ ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিদর্শন করেন মেয়র। ডিএসসিসির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের উদ্যোগে দুই খালের বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম শুরু হয়।
ডিএসসিসি কর্তৃপক্ষ জানায়, করপোরেশনের আওতাধীন এলাকায় বিভিন্ন সংস্থার মৃতপ্রায় খাল ও জলাশয়গুলোয় পানিপ্রবাহ সৃষ্টির মাধ্যমে জলাবদ্ধতা নিরসনের চেষ্টা চলছে। বর্জ্য অপসারণ ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের মাধ্যমে মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করে মশা নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে শ্যামপুর খাল ও ধানমন্ডি লেকে এই কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, এর আগে তারা শ্যামপুর খালের সীমানা নির্ধারণ ও সীমানার মধ্যে থাকা আটটি অস্থায়ী অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেন। এ ছাড়া ২০টি স্থায়ী স্থাপনা চিহ্নিত করেছেন যা পরবর্তীকালে উচ্ছেদ করা হবে।
তিনি জানান, মেয়রের নির্দেশ মোতাবেক এই খালের সীমানা নির্ধারণ এবং অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম চলমান থাকবে।