
দুর্ঘটনার ২২ ঘণ্টা পর সিলেটের সঙ্গে সারাদেশের ট্রেন চলাচল আবার শুরু হয়েছে। আজ সকাল সাড়ে ১০টায় উদ্ধারকারী ট্রেনটি মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের দুর্ঘটনাকবলিত এলাকা ছেড়ে যায়।
জানা গেছে, উদ্ধার ও মেরামত শেষ হয়েছে। এখন আর ট্রেন চলাচলে কোনো সমস্যা নেই। শিগগির ৭২০ নম্বর পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনটি সিলেট থেকে চট্রগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে দুর্ঘটনাকবলিত ৫০০ মিটার এলাকায় ১০ কিলোমিটার বেগে ট্রেন চলাচল করবে।
গতকাল দুপুর ১২টায় মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে তেলবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হয়। এতে ঘটনায় সিলেটের সঙ্গে সারাদেশের ট্রেন যোগাযোগ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।
দুর্ঘটনার পর সিলেট-ঢাকা ও সিলেট-চট্টগ্রাম রুটে পাঁচটি ট্রেনের যাত্রা বাতিল করা হয়। শ্রীমঙ্গলে দুর্ঘটনার কারণে সিলেট স্টেশন থেকে পারাবত, উদয়ন ও উপবন ছেড়ে যায়নি। এর মধ্যে পারাবত ও উদয়ন ঢাকায় এবং উপবন চট্টগ্রামে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল।
এতে হাজারও যাত্রীর গন্তব্যে পৌঁছা নিয়ে সংশয় দেখা দেয়। এ অবস্থায় বিপাকে পড়েছে শত যাত্রী।
দুর্ঘটনার কারণ জানতে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (ঢাকা) মঈনুল ইসলামের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটিতে আছেন বিভাগীয় প্রকৌশলী (ঢাকা) সুলতান আলী, বিভাগীয় সংকেত ও টেলিযোগাযোগ প্রকৌশলী (ঢাকা) আবু হেনা, বিভাগীয় প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) রেজাউল করিম ও বিভাগীয় যন্ত্র প্রকৌশলী (ওয়াগন) রেজাউল করিম।
শ্রীমঙ্গল জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন বলেন, দুর্ঘটনায় ট্রেনের পেছনে থাকা একটি ইঞ্জিন, একটি ব্রেক গার্ড এবং পাঁচটি কেরোসিন ও ডিজেল বোঝাই তেলের ওয়াগানসহ মোট সাতটি বগি লাইনচ্যুত হয়।