ধর্ষণের শিকার জীবিত বা মৃত কারও ছবি বা পরিচয় কিংবা পরিচয় প্রকাশ পায় এমন কোনো তথ্য গণমাধ্যমে প্রকাশের নিষেধাজ্ঞা চেয়ে রিট হয়েছে। সে সঙ্গে ছবি বা পরিচয় প্রকাশকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে রিটে।
জাস্টিস ওয়াচ ফাউন্ডেশন সংগঠনের পক্ষে মাহফুজুর রহমান মিলন আজ মঙ্গলবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট দায়ের করেন। রাজধানীর কলাবাগানে ধর্ষণে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের ও লেভেলের এক ছাত্রীর মৃত্যুর অভিযোগ ওঠার পর সংবাদমাধ্যমে তার নাম ও ছবি প্রকাশের জেরে বিষয়টি সব মহলে আলোচনায় আসে।
২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১৪ নম্বর ধারার ১ উপধারা অনুযায়ী, নির্যাতিতা নারীর সংবাদ এমনভাবে প্রকাশ বা পরিবেশন করা যাবে না যাতে ভুক্তভোগীর পরিচয় প্রকাশ পায়।
এ আইন লংঘন করলে দুই বছরের কারাদণ্ড বা এক লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় সাজা হতে পারে। তবে ভুক্তভোগীর মৃত্যুর পর প্রকাশ করা যাবে, এমন কথা বলা নেই।
রিটকারি মাহফুজুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ধর্ষণের শিকার কোনো ব্যক্তির ছবি প্রকাশে আইনে বাধা থাকলেও হরহামেশাই বিভিন্ন গণমাধ্যম ধর্ষণের শিকার নারী বা শিশুর ছবি প্রকাশ করছে। এর ফলে ওই পরিবারের সদস্যরা সামাজিকভাবে হেয় হচ্ছেন।’
রাজধানীতে ধর্ষণের শিকার হয়ে মারা যাওয়া শিক্ষার্থীর ছবি দেশের অধিকাংশ গণমাধ্যমে প্রকাশের বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘ছবি প্রকাশের ঘটনা আমাদের ব্যাথিত করেছে। তাই সংক্ষুব্ধ হয়ে এ রিট দায়ের করেছি।’ রিটটি বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানি হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।