সরকারের নানা পদক্ষেপে বাংলাদেশে করোনার প্রাদুর্ভাব কমায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে আজ থেকে খোলা হচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা। প্রকৃতির নতুন সাজে রূপ নেওয়া চিড়িয়াখানায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ঘুরতে পারবেন দর্শনার্থীরা।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের ফলে চলতি বছরের ২৬ মার্চ থেকে দেশের সব বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এতে মানুষের আনাগোনা না থাকায় বদলে যায় চিড়িয়াখানার অভ্যন্তরীণ অনেক চিত্র। এরই মধ্যে চিড়িয়াখানায় বেড়েছে সবুজের সমারোহ। বেড়েছে প্রাণীর সংখ্যাও।
সরকারের নানা পদক্ষেপে করোনায় সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। সরকারের নানামুখী প্রচারণায় দেশের মানুষ আগের চেয়ে স্বাস্থ্য সচেতন হয়েছেন। করোনাভাইরাস প্রতিরোধ সম্পর্কে সব মানুষ যথেষ্ট জ্ঞান লাভ করেছে। এতে লকডাউনসহ নানা বিধি-নিষেধ তুলে নেয়া হয়েছে। মানুষ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। আচমকা বাধাপ্রাপ্ত অর্থনীতি ফের চাঙ্গা হয়েছে। মানুষ লকডাউনে থেকে বিরক্তবোধ করছিলেন। সেই বিরক্তবোধ করা মানুষদের বিনোদনের ব্যবস্থা করে দিতে শর্তসাপেক্ষে জাতীয় চিড়িয়াখানা খুলে দেয়া হচ্ছে।
১০ পদক্ষেপের শর্তে খুলছে জাতীয় চিড়িয়াখানা
১. চিড়িয়াখানায় প্রবেশের ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার লক্ষ্যে অমোচনীয় রঙ দিয়ে বৃত্তাকার স্থান চিহ্নিত করা।
২. প্রবেশ ফটকে জীবাণুনাশক টানেল ও ফুটবাথ স্থাপন করা।
৩. প্রবেশ পথে থার্মাল স্ক্যানারে দর্শনার্থীদের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষার ব্যবস্থা করা।
৪. চিড়িয়াখানার অভ্যন্তরে গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোয় হাত ধোয়ার জন্য বেসিন ও সাবান রাখা।
৫. দর্শনার্থীদের জন্য হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা করা।
৬. দর্শনার্থীর সংখ্যা প্রতিদিন সর্বোচ্চ দুই হাজারের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা।
৭. প্রতিদিন গুরুত্বপূর্ণ প্রাণীর পরিবেষ্টনের চারপাশে জীবাণুনাশক স্প্রে করা।
৮. চিড়িয়াখানা প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত খোলা রাখা।
৯. ডিজিটাল ডিসপ্লেতে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সতর্কতামূলক প্রচার চালানো।
১০. ষাটোর্ধ্ব বয়সী কাউকে চিড়িয়াখানায় প্রবেশাধিকার না দেয়া।
মাসের প্রথম রোববার জাতীয় চিড়িয়াখানায় প্রবেশ ফ্রি।