জাতীয়

পঞ্চম ধাপের পৌর নির্বাচনে জয়ী হলেন যাঁরা

শেষ হয়েছে পঞ্চম ধাপে ২৯ পৌরসভায় ভোটগ্রহণ।

রোববার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ হয়। এ ধাপে সব পৌরসভায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট নেয়া হয়। ভোটগ্রহণ শেষে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ফলাফল গণনা করা হয়।

২৯ পৌরসভার ২৭টিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্যে দুজন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন।

ভোটের মাধ্যমে জয়ী প্রার্থীরা হলেন জয়পুরহাট সদরে মো. মোস্তাফিজুর রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে মো. আব্দুর রশিদ, রাজশাহীর চারঘাটে মো. একরামুল হক ও দুর্গাপুরে মো. তোফাজ্জল হোসেন, ঝিনাইদহের মহেশপুরে মো. আব্দুর রশিদ খান ও কালীগঞ্জে মো. আশরাফুল আলম, যশোরের কেশবপুরে রফিকুল ইসলাম, ভোলা সদরে মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান ও চরফ্যাশনে মো. মোরশেদ, জামালপুর সদরে মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন, ইসলামপুরে মো. আব্দুল কাদের সেখ ও মাদারগঞ্জে মির্জা গোলাম কিবরিয়া কবির, ময়মনসিংহের নান্দাইলে মো. রফিক উদ্দিন ভূঁইয়া, কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ইফতেখার হোসেন বেনু, মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে আবু নাইম মোহাম্মদ সোহাগ, মাদারীপুরে মো. খালিদ হোসেন, হবিগঞ্জ সদরে আতাউর রহমান সেলিম, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নায়ার কবির, চাঁদপুরের মতলবে মো. আওলাদ হোসেন ও শাহরাস্তিতে হাজি আব্দুল লতিফ, লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে মো. গিয়াস উদ্দীন রুবেল, চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ের বারইয়ারহাটে মোহাম্মদ রেজাউল করিম খোকন ও রাঙ্গুনিয়ায় মো. শাহজাহান সিকদার, গাজীপুরের কালীগঞ্জে এস. এম. রবীন হোসেন ও নীলফামারীর সৈয়দপুরে রাফিকা আকতার জাহান।

এর আগে মাদারীপুরের শিবচরে মো. আওলাদ হোসেন খাঁন ও চট্টগ্রামের মীরসরাই পৌরসভায় গিয়াস উদ্দিন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মেয়র নির্বাচিত হন।

এ ছাড়া রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার হারাগাছে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. এরশাদুল হক বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।

বগুড়া পৌরসভায় মেয়র পদে জয়ী হয়েছেন বিএনপির মো. রেজাউল করিম বাদশা।

নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, এ ধাপের নির্বাচনি লড়াইয়ে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ১০০ জন প্রার্থী, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ৩৬৬ জন ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে এক হাজার ৩১৮ জন।

পঞ্চম দফায় ৩১ পৌরসভার তফসিল ঘোষণা করা হয়েছিল। আগের ধাপের সৈয়দপুর পৌরসভা এসে এ ধাপে যুক্ত হয়। এদিকে যশোর পৌরসভা ও জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভার ভোট হাইকোর্টের আদেশে স্থগিত করা হয়েছে। চট্টগ্রামের রাউজান পৌরসভার ভোটে সব পদে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় সেখানে ভোটের প্রয়োজন হয়নি। ফলে ২৯ পৌরসভায় আজ ভোটগ্রহণ করা হয়।

ঝিনাইদহের শৈলকুপা, ফরিদপুরের মধুখালী, রাজশাহীর পবা ও কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনও হয়েছে।

করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে এবার বেশ কয়েক ধাপে পৌরসভা নির্বাচন করছে কমিশন। প্রথম ধাপের তফসিলের ২৪টি পৌরসভায় ইভিএমে ভোট হয় গত ২৮ ডিসেম্বর। গত ১৬ জানুয়ারি দ্বিতীয় ধাপের ভোট হয়। তৃতীয় ধাপে ৬৩টি পৌরসভায় ভোট হয় গত ৩০ জানুয়ারি। চতুর্থ ধাপে ৫৫ পৌরসভায় ভোটগ্রহণ হয় গত ১৪ ফেব্রুয়ারি। ১১ এপ্রিল ষষ্ঠ ধাপে নয় পৌরসভায় ভোট হওয়ার কথা রয়েছে।

আইন অনুযায়ী, মেয়াদ শেষের পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যেই পৌরসভার ভোট করতে হয়। স্থানীয় সরকার আইন সংশোধনের পর ২০১৫ সালে প্রথম দলীয় প্রতীকে ভোট হয় পৌরসভায়। সেবার ২০টি দল ভোটে ছিল।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button