
যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নেতাদের সঙ্গে পরমাণু চুক্তিতে ফিরতে অনানুষ্ঠানিক কোনো আলোচনায় বসবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে ইরান।
দেশটি যুক্তরাষ্ট্রকে আগে তাদের দেয়া একপক্ষীয় সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, এখন ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রস্তাবিত আলোচনায় বসার উপযুক্ত সময় নয়।
ইরানের এমন অবস্থানে যুক্তরাষ্ট্র অসন্তুষ্ট হলেও তারা ‘অর্থবহ কূটনৈতিক উপায়ে আলাপ-আলোচনা’ শুরুর বিষয়ে আগ্রহী বলে জানিয়ে রেখেছে।
২০১৮ সালে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রকে ইরানের সঙ্গে বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশগুলোর পরমাণু বিষয়ক চুক্তি থেকে বের করে নেয়ার ঘোষণা দিলে চুক্তিটির বিষয়ে স্থবিরতা দেখা দেয়। ট্রাম্প সেসময় ইরানের ওপর কড়া অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন।
বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এখন ২০১৫ সালের সেই চুক্তিতে ফিরতে চাইছেন। ওয়াশিংটন বলছে, তেহরানকে অবশ্যই চুক্তির পূর্ণাঙ্গ মেনে চলা শুরু করতে হবে।
তেহরান বলছে, এটা একমাত্র তখনই সম্ভব যখন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ওপর জারি করা সব নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে।
ইরানি সংবাদমাধ্যমকে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাইদ খাতিবজাদেহ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের তিন ক্ষমতাধর দেশের (যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও ফ্রান্স) কর্মকাণ্ড ও কথাবার্তা বিবেচনায় ইরান ইইউ পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রধানের প্রস্তাবিত অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় বসার সময় এখনও এসেছে বলে মনে করছে না।
পরমাণু প্রযুক্তির প্রসার ও ব্যবহার নিয়ে ২০১৫ সালের অক্টোবরে ইরান জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ সদস্য দেশ—যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স ও জার্মানির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়। ছয়টি দেশ আর ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইরানের সঙ্গে ওই চুক্তিতে সাক্ষর করে। ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে চুক্তির বাস্তবায়ন শুরু হয়। ২০১৮ সালে এসে ট্রাম্প ‘জয়েন্ট কম্প্রিহেন্সিভ প্ল্যান অব অ্যাকশন’ (জিসিপিওএ) নামের ওই চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বের করে নিয়ে ইরানের ওপর কড়া নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন।