ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল-টিআইয়ের দুর্নীতি ধারণা সূচকে পাকিস্তানের চেয়েও বাংলাদেশের খারাপ অবস্থান কোনোভাবেই বিশ্বাসযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
আজ শুক্রবার রাজধানীতে তার সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকরা সম্প্রতি বার্লিনভিত্তিক এনজিও ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআই) পরিচালিত ‘দুর্নীতির ধারণা সূচক (সিপিআই) ২০২০’-এ প্রকাশিত বাংলাদেশের অবস্থান প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে উত্তরে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘অন্য এনজিওর মতো টিআই-ও তাদের পরিচালনার জন্য যারা অর্থ জোগান দেয়, তাদের স্বার্থ দেখে। আর তাদের রিপোর্ট অনুযায়ী, পাকিস্তানের চেয়ে বাংলাদেশে দুর্নীতি বেশি, এটা পাগলেও বিশ্বাস করবে না।’
তথ্যমন্ত্রী আরো বলেন, ‘প্রতিবেদনেটি আমি দেখেছি, সেখানে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ আগের স্থানেই আছে কিন্তু অন্যদের স্কোর ভালো হওয়ায় তাদের মতে দুই ধাপ নিচে নেমেছে। তবে বাংলাদেশের অবস্থান আসলে নিচে নেমেছে, না তাদের পদ্ধতিগত ত্রুটির কারণে এটি হয়েছে, সেটিও একটি বিষয়। কারণ তাদের নানা পদ্ধতিগত ত্রুটির কথা আমাদের জানা।’
ড. হাছান বলেন, ‘টিআই একটি এনজিও। এর প্রতিবেদন আমাদের দেশে যেভাবে প্রচার হয়, পাশের দেশেও তা এত গুরুত্ব দিয়ে ছাপা হয় না। অন্যান্য এনজিও যেভাবে চলে, তারাও সেভাবে দাতা প্রতিষ্ঠান থেকে অর্থ সংগ্রহ করে চলে এবং ফান্ডদাতাদের স্বার্থও টিআই-কে সংরক্ষণ করতে হয়।’
‘সিপিআই-২০২০ অনুযায়ী ১৮০টি দেশের মধ্যে তালিকার নিচের দিক থেকে বাংলাদেশ ১২তম অবস্থানে দেখানো হয়েছে যেটা সিপিআই-২০১৯ এর ১৪তম স্থানের চেয়ে দুই ধাপ নিচে। দুর্নীতি দমন কমিশন বলেছে, টিআইয়ের এই রিপোর্ট সঠিক নয়’, যোগ করেন তথ্যমন্ত্রী।