
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া মোটামুটি শান্তিপূর্ণভাবে ৪৫টি আসনে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে চাকদায় এক স্বতন্ত্র প্রার্থী পিস্তল নিয়ে ভোটকেন্দ্রে ঢোকেন। এরপরে তাড়া খেয়ে সঙ্গে থাকা পিস্তল রেখে পালিয়ে যান। আজ শনিবার ছিল পঞ্চম ধাপের নির্বাচন। স্থানীয় সময় সকাল সাতটায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়, চলে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত।
করোনা আবহের মধ্যে করোনাবিধি মেনে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়। চতুর্থ দফার ভোটে পাঁচজনের প্রাণহানি ঘটায় আজও সংঘাতের আশঙ্কা করেছিলেন কেউ কেউ। তবে তেমন বড় কিছু ঘটেনি। উত্তর চব্বিশ পরগনার দেগঙ্গায় ভোট নিয়ে সংঘর্ষ চলাকালে কেন্দ্রীয় বাহিনী একপর্যায়ে ফাঁকা গুলি ছোড়ে। সল্ট লেকের শান্তিনগরে বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে ভোটদানে বাধা, এজেন্টদের বুথে ঢুকতে বাধা, ইভিএম খারাপ হওয়া, জালভোট দেওয়ার চেষ্টা, প্রার্থীর ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
নদীয়ার গয়েশপুরে বিজেপির এক বুথ সভাপতির বাড়িতে বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। কল্যাণীর বকুলতলায় বিজেপির ওপর হামলা হয়েছে। জলপাইগুড়িতে রেললাইনে একটি রেলগেট নির্মাণের দাবিতে ভোট বর্জন করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
বেলঘরিয়ায় বিজেপি প্রার্থী রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় হামলার শিকার হয়েছেন। তাঁর গাড়ি ভাঙচুর হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন স্থানে বোমাবাজির ঘটনা ঘটেছে। বোমার আঘাতে আহত হয়েছেন তৃণমূল ও বিজেপির সমর্থকেরাও। হাসপাতালেও ভর্তি হয়েছেন আহত ব্যক্তিরা। বারাসাতে বুথ জ্যামের অভিযোগ করেছেন প্রার্থী অভিনেতা চিরঞ্জিৎ। চাকদায় এক স্বতন্ত্র প্রার্থী কৌশিক ভৌমিক আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ভোটকেন্দ্রে ঢোকেন।
এদিকে আজ সকালে কামারহাটি ভোটকেন্দ্রে এক বিজেপি পোলিং এজেন্ট ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হওয়ার পর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে ভোটকেন্দ্রেই প্রাণ হারান।
আজ ৬ জেলার ৪৫টি আসনে ভোট গ্রহণ করা হয়। জেলাগুলো হলো উত্তর চব্বিশ পরগনা, পূর্ব বর্ধমান, নদীয়া, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং ও দার্জিলিং।