দেশের পুঁজিবাজারে ইক্যুইটি নির্ভরতা বেশি। বন্ড ও মিউচ্যুয়াল পণ্যও রয়েছে। নিরাপদ বিনিয়োগ হিসাবে মিউচ্যুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ হলেও সচল নয় বন্ড মার্কেট। তবে বিভিন্ন দেশের পুঁজিবাজারে বন্ড জনপ্রিয়।
ইক্যুইটি নির্ভরতা কমাতে তাই পুঁজিবাজারে নতুন পণ্য চালু করতে যাচ্ছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন। বিএসইসি জানিয়েছে, শিগগির তারা নতুন চার পণ্য চালু করবে। পণ্যগুলো হচ্ছে- ডেরিভেটিভস, গ্রিন বন্ড, সুকুক ও এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড (ইটিএফ)।
দেশের পুঁজিবাজার থেকে বিভিন্ন বেসরকারি উদ্যোক্তা বন্ডের মাধ্যমে মূলধন উত্তোলন করলেও সেকেন্ডারি মার্কেটে বন্ড কেনাবেচা হয় না। বন্ড মার্কেটকে সচল ও বন্ডের মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদী মূলধন উত্তোলন আরো বাড়াতে চেষ্টা করছে বিএসইসি।
২০২০ সালে একটি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানসহ প্রায় ছয় হাজার কোটি টাকার বেশি বন্ড ইস্যুর অনুমোদনও দিয়েছে কমিশন। আরোবন্ড পরিকল্পনাধীন রয়েছে।
২০১৯ সালে বিএসইসি সুকুক বিনিয়োগ ও ডেরিভেডিভস নীতি প্রণয়ন করেছে। অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে বন্ডের লেনদেন চালুর বিষয়ে পরিকল্পনা করছে কমিশন। গ্রিন বন্ড ও এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড (ইটিএফ) নীতি প্রণয়ন নিয়েও কাজ করছে কমিশন।
কমিশন মনে করছে, পুঁজিবাজারে একাধিক পণ্য বা পণ্য বৈচিত্র্যায়ণ হলে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়বে। বিনিয়োগের পরিমাণও বাড়চে। দীর্ঘমেয়াদী মূলধন উত্তোলনে শিল্পখাতের উদ্যোক্তারাও পুঁজিবাজারমুখী হবে।