
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় বোমা পুঁতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার মামলায় ১০ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত এক আসামি ও ১৪ বছর করে কারাদণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামির মধ্যে একজনকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বুধবার এ রায় দেন।
২০০০ সালের ২২ জুলাই গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় শেখ লুৎফর রহমান সরকারি আদর্শ কলেজ মাঠ প্রাঙ্গণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভার প্যান্ডেল তৈরির সময় শক্তিশালী একটি বোমা পাওয়া যায়। সেনাবাহিনীর একটি দল ৭৬ কেজি ওজনের ওই বোমা উদ্ধার করে। পরদিন ২৩ জুলাই ৪০ কেজি ওজনের একটি বোমা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ওই দিনই কোটালীপাড়া থানার পুলিশ হত্যাচেষ্টা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা করে।
প্রধানমন্ত্রীর দল আওয়ামী লীগ তাদের নেত্রীকে অন্তত ১৯ বার হত্যা চেষ্টার অভিযোগ করে আসছে। এসব ঘটনায় মামলার তথ্য মিলেছে ১৪টির। বিচারিক আদালতে রায় হয়েছে ছয়টির। বাকি সাতটি মামলা এখনও ঝুলে রয়েছে।
যেসব মামলার বিচারিক আদালত থেকে রায় হয়েছে তার মধ্যে এই প্রথম কোনো মামলার রায় এল উচ্চ আদালত থেকে। তবে এখনও সাজা কার্যকরের অনেক দেরি আছে। আপিল বিভাগে আবেদন করার সুযোগ আছে। এরপর রিভিও শেষে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনার সুযোগ রয়েছে।
উচ্চ আদালতে এখনও শুনানির অপেক্ষায় একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা, ১৯৮৮ সালে চট্টগ্রামে গুলি করে হত্যাচেষ্টায় ২৪ জন নিহতের মামলা, ১৯৯৪ সালে পাবনার ঈশ্বরদীতে গুলি করে হত্যা চেষ্টা, ৯০ দশকে বাড়িতে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দল ফ্রিডম পার্টির কর্মীদের দ্বারা শেখ হাসিনাকে হত্যা চেষ্টা মামলা ও ২০০২ সালে সাতক্ষীরার কলারোয়ায় গাড়িবহরে হামলা মামলা।
এর মধ্যে সাতক্ষীরার ঘটনায় বিচারিক আদালত থেকে রায় এসেছে সম্প্রতি। এখনও সেটি উচ্চ আদালতে আসেনি।