রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিএনপির সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ও পুলিশের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হয়েছেন।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার লেখক মুশতাক আহমদের মৃত্যুতে আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে এই প্রতিবাদ সমাবেশ ডাকে ছাত্রদল। সমাবেশ শুরুর ২০ মিনিটের মধ্যে শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ।
পুলিশের লাঠিপেটায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেলসহ ছাত্রদলের বেশ কয়েক নেতা-কর্মী আহত হন। একই সঙ্গে নেতা-কর্মীদের ইটপাটকেল নিক্ষেপে আহত হন একাধিক পুলিশ সদস্য। আহত হয়েছেন একাধিক সংবাদকর্মী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা ১১টায় সমাবেশ শুরুর কথা থাকলেও সাড়ে ৯টা থেকেই সেখানে ছাত্রদলের কর্মীরা জড়ো হতে থাকেন। সমাবেশের অনুমতি না থাকায় বাধা দেয় পুলিশ। তখন প্রেস ক্লাবের ভেতর থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। এরপর শুরু হয় পুলিশের লাঠিচার্জ।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের।
সমাবেশের জন্য ছাত্রদল কোনো অনুমতি ছিল না জানিয়ে ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ কমিশনার সাজ্জাদুর রহমান বলেন, ‘প্রেসক্লাবের ভেতর থেকে একটা গ্রুপ রাস্তায় এসে হামলা করে। আরেকটা বড় গ্রুপ প্রেসক্লাবের ভেতর থেকে ইট পাটকেল ছুড়তে শুরু করে।’ ছাত্রদল নেতাকর্মীদের আঘাতে অন্তত সাত-আটজন পুলিশ সদস্য আহত আছেন বলে দাবি তার।
সংঘর্ষ চলাকালে কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘পুলিশের ওপর হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’