প্রধান প্রতিবেদন

ফাঁকা সড়ক, মোড়ে মোড়ে চেকপোস্ট

একটি মিষ্টির ব্র্যান্ডের গাড়ি নিয়ে বের হয়েছিলেন স্বাধীন। গাড়ি ভর্তি মিষ্টান্ন জাতীয় খাবার। কিন্তু তাঁর কাছে মুভমেন্ট পাস বা কর্তৃপক্ষ থেকে দেওয়া কোনো অনুমতিপত্র নেই। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ফোনেও পাচ্ছেন না। বেশ চিন্তিত স্বাধীন বললেন, ‘আমি এখন এই গাড়ি নিয়া কী করব!’ রাজধানীর কারওয়ান বাজারের সার্ক ফোয়ারা মোড়ের ঘটনা এটি। মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন মোড়ে আছে পুলিশের চেকপোস্ট। বিনা কারণে চলাচলের ওপর পুলিশকে কিছুটা কঠোরই দেখা গেল।  

আজ বুধবার থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। আগের লকডাউন ছিল ঢিলেঢালা এবং মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কঠোর অবস্থানে দেখা যায়নি। তবে এবার শুরু থেকেই বলা হয়েছিল, কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। জরুরি প্রয়োজনে বের হওয়ার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে দেওয়া মুভমেন্ট পাস নিয়ে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য চলাচল করা যাবে।

মো. সজীব হোসেন একটি বহুজাতিক কোম্পানির ডিলারের অধীনে কাজ করেন। বাটা সিগন্যাল মোড়ে পুলিশ তাঁকে আটকে দেয়। ওই বহুজাতিক কোম্পানির ডিলারদের চলাচলের পাস থাকলেও তাঁর জন্য নেই। তাই তিনিও বিপদে পড়েছেন। বাটা সিগন্যাল মোড়ে দায়িত্বরত সার্জটন্ট সাইফুল বলেন, প্রত্যেককেই পাস দেখাতে হচ্ছে। প্রয়োজনের বাইরে কাউকে চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে না।

পাস বা কোনো অনুমতিপত্র না থাকলে তাদের ফেরতও পাঠানো হচ্ছে। শাহবাগ মোড়ে শাহবাগ থানার সাব ইন্সপেক্টর মো. নাছির উদ্দিন খান মোড়ের এক পাশে রাখা মোটরসাইকেল দেখিয়ে বললেন, একজন কোনো কিছু দেখাতে পারেননি। তাই মোটরসাইকেল রেখে কাগজ আনতে গিয়েছেন।

রাজধানীর শাহবাগ, কারওয়ান বাজার, সায়েন্সল্যাব, ফার্মগেটসহ বিভিন্ন এলাকার মোড়গুলোতে পুলিশের তৎপরতা দেখা যাচ্ছে। প্রিন্ট কপি বা মোবাইলে মুভেমন্ট পাসে দেখিয়ে অনেককেই চলাচল করছেন। সড়কে কিছু ব্যক্তিগত যান, মোটরসাইকেল, রিকশা ও পণ্য পরিবহনের পিকআপ ও ট্র্যাক ছাড়া অন্য কোনো বাহনের দেখা মেলেনি। পয়লা বৈশাখের ছুটির দিন হিসেবেও মানুষের চলাচল কম।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button