অর্থনীতি

‘ফ্রন্টলাইন জার্নালিজম অ্যাওয়ার্ড’ পেলেন কালের কণ্ঠের মাসুদ রুমী

করোনা মহামারীর কঠিন সময়ে সম্মুখসারিতে দায়িত্ব পালনের জন্য ‘অ্যামচ্যাম ফ্রন্টলাইন জার্নালিজম অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছেন কালের কণ্ঠের বিজনেস এডিটর মাসুদ রুমী।

মহামারির প্রাদুর্ভাবকালে সম্মুখসারির সাংবাদিকদের কাজের স্বীকৃতি ও সম্মান জানাতে এ অ্যাওয়ার্ড দিয়েছে দি আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশ (অ্যামচ্যাম)।

গত বছরের ৭ আগষ্ট কালের কণ্ঠে প্রকাশিত ‘মেঘ কাটছে অর্থনীতির’ শীর্ষক প্রতিবেদনের জন্য তিনি এ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন।

গতকাল রবিবার (২৪ জানুয়ারি) এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে অ্যাওয়ার্ড বিজয়ীদের নাম ঘেষাণা করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

অ্যামচ্যামের সভাপতি সৈয়দ এরশাদ আহমেদের সভাপতিত্বে সহ-সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ কামালের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার। আরো উপস্থিত ছিলেন অ্যামচ্যামের সাবেক সভাপতি, নির্বাহী কমিটির সদস্যসহ অ্যামচেম ও মার্কিন দূতাবাসের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা।

পেশাগত কাজের স্বীকৃতি হিসেবে রুমী দুইবার পর্যটন সাংবাদিকতায় বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের বিশেষ ফেলোশিপ ও ২০১২ সালে মুম্বাইয়ে ওয়ার্ল্ড ব্র্যান্ড কংগ্রেসে সিএমও কাউন্সিলের ওয়ার্ল্ড ব্র্যান্ড লিডারশীপ অ্যাওয়ার্ড’সহ নানা পুরস্কার অর্জন করেছেন। তিনি ২০০৯ সালের ১ জুলাই থেকে কালের কণ্ঠে কর্মরত। এর আগে যায় যায় দিনসহ আরো কয়েকটি সংবাদপত্রে কাজ করেছেন।

অনুষ্ঠানে জানানা হয়, এই অ্যাওয়ার্ড কর্মসূচীর আওতায় বিভিন্ন জাতীয় মিডিয়া প্রতিষ্ঠানের সাংবাদিক ও টিভি ক্যামেরাপার্সনদের ১ মার্চ থেকে ৩১ আগস্ট ২০২০-এর মধ্যে প্রকাশিত মহামারীর দুটি বিষয়ে প্রতিবেদন আহবান করা হয়। বিষয় দুটি ছিল যথাক্রমে-জীবন ও জীবিকা এবং ব্যবসায় খাতে মহামারীর প্রভাব এবং করোনা মহামারীর প্রভাব, মানবিক পটভূমি। এরপর পেশাদার জুরি বোর্ডের মনোনায়নে অ্যাওয়ার্ডের জন্য চুড়ান্ত বিজয়ী নির্বাচিত করা হয়। বিজয়ীদের একটি সার্টিফিকেট, ক্রেস্ট ও আর্থিক সম্মাননা দেয়া হবে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।

বিজয়ীদের অভিনন্দন জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘করোনা মহামারীর কারণে সারা বিশ্বেই সংবাদকর্মীরা মাঠে থেকে কাজ করছেন। তাদেরকে স্বাস্থ্য ঝুঁকিসহ নানা ধরণের ঝুঁকির মধ্যেই দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। এরপরও তারা দমে না গিয়ে গুজব এবং আতঙ্ক যেন সমাজে ছড়িয়ে না পড়ে, সেলক্ষ্যে জনসচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি করোনা মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদানের মাধ্যমে সরকারকে নানাভাবে সহায়তা করছে।’

মহামারীতে মারা যাওয়া ৪৩ সাংবাদিকের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার বলেন, সাংবাদিকরা মহামারিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। তাদেরকে স্বীকৃতি দেওয়ায় আমি অ্যামচ্যামকে ধন্যবাদ জানাই। আমেরিকান চেম্বার বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে ভ‚মিকা রেখে আসছে। আগের ধারাবাহিকতায় যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ ও অন্যান্য সহযোগিতা আরও জোরদার হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

১৯৮৮ সালে যাত্রা শুরু করা আমেরিকান বাংলাদেশ ইকোনমিক ফোরামের নাম পরিবর্তিত হয়ে ১৯৯৬ সালে অ্যামচ্যাম করা হয়। মার্কিন দূতাবাস সংগঠনটির নানা কার্যক্রমে সহায়তা করে। বাংলাদেশে কর্মরত যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিভিন্ন বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার ও দেশটিতে ব্যবসা করা বাংলাদেশী ব্যসসায়ীদের সংগঠনটি দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের প্রসারে কাজ করছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button