জাতীয়প্রধান প্রতিবেদন

বিকেল হলেই জনস্রোত নামছে মার্কেটে

 বিধি-নিষেধের মধ্যে দোকানপাট, শপিংমল, মার্কেট, বিপণিবিতান ও ফ্যাশন হাউসগুলোতে বিকেলের দিকে এখন ভিড় বাড়তে শুরু করেছে। বিশেষ করে ছুটির দিনগুলোতে, রোদের তাপ যখন কমে আসে, সেই সময় নগরবাসী ঈদের কেনাকাটার জন্য এখন মার্কেটে আসছেন।

শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকা ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্রই। বিশেষ করে বিকেল ৫টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলে মূল বেচাকেনা। এখন বিকেল হলেই রাজধানীর শপিংমলগুলোতে ঈদের কেনাকাটা করতে ছুটছেন ক্রেতারা। ভ্যাপসা গরম উপেক্ষা করে ফুটপাতেও বেড়েছে ক্রেতাদের ভিড়।

এদিকে রাজধানরীর নিউ মার্কেটে আসা মানুষের মধ্যে আগের থেকে এখন মাস্ক পরার প্রবণতা বেড়েছে। তবে সামাজিক দূরত্বের বালাই নেই। ফলে ঈদের কেনাকাটার ভিড়ে বিপণিবিতান ও ফুটপাতের দোকানগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি অনেকটা নেই বললেই চলে। বিক্রেতারা বলছেন, তারা চেষ্টা করছেন স্বাস্থ্যবিধি মেনেই কার্যক্রম পরিচালনার। আর তাদের মতে মার্কেটে ক্রেতার ভিড় বাড়লেও বাড়েনি বিক্রি। রমজানের শেষ ১০ দিন বিক্রি বাড়বে বলে আশা করছেন তারা।

এ বিষয়ে নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ী আহমদ আলী বলেন, দোকান খোলার পর ক্রেতা বেড়েছে। তবে ঈদ উপলক্ষে যে বিক্রি হয়, সেটা এবার নেই। ঈদের আগের দুই সপ্তাহ প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫টি পাঞ্জাবি বিক্রি করা হতো। এখন পাঁচটাও বিক্রি হচ্ছে না। এটা ঈদের বাজার না, নিয়মিত সময়ের বাজার।  

শুক্রবার ছুটির দিনের বিকেলে মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, পুরো মার্কেটই লোকারণ্য। পোশাকের দোকানগুলোতে ভিড় ছিল তুলনামূলক বেশি। তবুও বিক্রি নেই বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।

ফুটপাতে পোশাক বিক্রেতা শফিকুর রহমান বলেন, প্রচণ্ড গরমে মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে না। কেউ কেউ এলেও কিনছেন কম। আরও কয়েকদিন পরে ঈদ বাজার জমে উঠবে।

এদিকে শপিংমল ও দোকান খোলার অনুমতি দিলেও সরকারি নির্দেশনা ছিল- শপিংমলে যেতেও ‘মুভমেন্ট পাস’ নিতে হবে। তবে মার্কেটে আসা ক্রেতারা বলছেন, তারা কোনো মুভমেন্ট পাস নেননি। আসার পথে পুলিশ বা প্রশাসনের কারও মুখোমুখিও হতে হয়নি। তবে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে মার্কেটে আসতে হচ্ছে।

এ বিষয়ে মঈনুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি বলেন, ক্রেতা-বিক্রেতা সবাই তো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে। এতে তো সমস্যা হওয়ার কথা না। দোকানে প্রবেশের আগেই সবাই স্যানিটাইজার ব্যবহার করছি। ঈদ আমাদের বড় একটি উৎসব। ঈদে মানুষের আয়োজন থাকবেই। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই সবকিছু করতে হবে।

খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, ঢাকার সব মার্কেট ও দোকানপাট সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চালু রাখা হচ্ছে। বেশিরভাগ মার্কেট কর্তৃপক্ষ নিজ উদ্যোগে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। এছাড়া করোনা আতঙ্কে সাধারণ মানুষও মাস্ক ও প্রয়োজনীয় স্যানিটাইজার ব্যবহার করছেন। বিধি-নিষেধের এ সময় দোকানপাট চালু থাকলেও গণপরিবহন বন্ধ। সবমিলিয়ে এবারের ঈদ বাণিজ্য নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়ছেন ব্যবসায়ীরা। অথচ ঈদ সামনে রেখে এ সময়টাতে দম ফেলার সুযোগ থাকে না ব্যবসায়ীদের। প্রচণ্ড তাপদাহের কারণে ক্রেতারা ঘর থেকে বের হচ্ছে না। পাশাপাশি করোনা সংক্রমণের আতঙ্ক বিরাজ করছে নগরবাসীর মধ্যে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button