বিশ্বে করোনা আক্রান্ত রোগী বাড়ছে। এখন পর্যন্ত প্রায় সাড়ে আট কোটি মানুষ করোনায় সংক্রমিত হয়েছে। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ১৮ লাখ ৪৩ হাজারের বেশি মানুষ। সুস্থ হয়েছেন ছয় কোটি ৯৫ হাজার ৮৬৯ জন।
কোভিড-১৯ পরিসংখ্যান নিয়ে কাজ করছে ওয়ার্ল্ডোমিটার। এর সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, আজ রবিবার (৩ জানুয়ারি) বিশ্বে করোনা সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ কোটি ৪৯ লাখ ৭৯ হাজার ১৬৬ জনে।
করোনার তান্ডবে যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে খারাপ সময় পার করছে। দেশটিতে করোনা আক্রান্ত রোগী হু হু করে বাড়ছে। দেশটিতে ২ কোটি ৯ লাখ ৪ হাজার ৭০১ করোনা আক্রান্ত রোগী রয়েছে। মারা গেছে তিন লাখ ৫৮ হাজার ৬৮২ জন। সুস্থ হয়েছে এক কোটি ২৩ লাখ ৬১ হাজার ৩৮৭ জন।
সংক্রমণ তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। এখন পর্যন্ত দেশটিতে করোনায় সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৩ লাখ ২৪ হাজার ৬৩১ জন। প্রাণ হারিয়েছে ১ লাখ ৪৯ হাজার ৪৭১ জন।
তৃতীয় স্থানে থাকা ব্রাজিলের অবস্থা বেশ সংকটপূর্ণ। এখানে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৭৭ লাখ ১৫ হাজার ৪০৫। এতে মারা গেছেন ১ লাখ ৯৫ হাজার ৭৪২ জন।
তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে রাশিয়া। পঞ্চম ও ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য। সপ্তম স্থানে তুরস্ক। অষ্টম ইতালি। নবম স্থানটি স্পেনের। দশম জার্মানি।
বাংলাদেশের অবস্থান ২৭।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে শহরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি দেশটিতে করোনায় প্রথম রোগী মারা যান। এর ঘোষণা আসে ১১ জানুয়ারি।
চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে। এরপর বিভিন্ন দেশে করোনা ছড়িয়ে পড়ে। চীনের বাইরে ফিলিপাইনে ২ ফেব্রুয়ারি করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
গত ১১ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাভাইরাস থেকে সৃষ্ট রোগের নামকরণ করে ‘কোভিড-১৯’।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ১১ মার্চ করোনাকে বৈশ্বিক মহামারী ঘোষণা করে।
৩০টির বেশি দেশে করোনার নতুন ধরন
যুক্তরাজ্যে শনাক্ত করোনার নতুন ধরন বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ছে। ৩০টির বেশি দেশে শনাক্ত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।
সবশেষ গতকাল ভিয়েতনামে করোনার নতুন ধরন শনাক্ত হয়েছে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, করোনার নতুন ধরন আগের ধরনের তুলনায় দ্রুত ও বেশি ছড়ায়। আগের ধরনের তুলনায় নতুন ধরনের সংক্রমণ ক্ষমতা ৭০ শতাংশ বেশি।