
অনেকে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া পেপটিক আলসারের ওষুধ সেবন করেন। অনেকে গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খেয়েই চলেছে দিনের পর দিন। অনেকে দিনে দুই তিনবারও এসব ওষুধ সেবন করেন।
একটু পেট ফাঁপা, পেট ভারী, বুকে অস্বস্তি, ঢেকুর উঠলে, মলত্যাগে সামান্য সমস্যা হলে নিজেরাই ওষুধ সেবন করেন। এমন মানুষের সংখ্যা কম নয়।
নানা ধরণের আলসারের ওষুধ রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় অ্যান্টাসিড ও পিপিআই। পিপিআইয়ের মধ্যে রয়েছে ওমিপ্রাজল, র্যাবিপ্রাজল, প্যান্টপ্রাজল, ইসোমেপ্রাজল ইত্যাদি।
এ দুই ধরণের ওষুধ গ্রহণের ফলে নানা শারীরিক সমস্যা হয়। সাধারণ আলসারের ওষুধ ওমিপ্রাজল বেশিদিন একটানা খাওয়ার ফলে অস্টিওপোরোসিস বা হাড় ক্ষয়ের ঝুঁকি বাড়ে বলে প্রমাণিত হয়েছে৷
এতে ডায়রিয়ার মতো সমস্যা হতে পারে। কমে যেতে পারে রক্তে ক্যালসিয়াম বা ম্যাগনেসিয়াম। হতে পারে নানা সংক্রমণ।
পেটের সমস্যায় অনেকে অ্যান্টাসিড-জাতীয় বড়ি বা সিরাপ খেয়ে থাকেন৷ অ্যান্টাসিডের নানা উপাদান ভেদে বিভিন্ন সমস্যা তৈরি হতে পারে৷ হতে পারে কোষ্ঠকাঠিন্য অথবা ডায়রিয়া।
অন্ত্রে গুরুত্বপূর্ণ অনেক উপাদানের শোষণ কমে যেতে পারে। অ্যান্টাসিড নিয়মিত খেলে কিডনি পাথরের ঝুঁকি বাড়ে। বয়স্ক ও হৃদরোগীদের জন্য বেশি ম্যাগনেশিয়ামসমৃদ্ধ অ্যান্টাসিড ভালো নয়৷ যেকোনো অ্যান্টাসিড অন্য ওষুধের কার্যক্ষমতায় প্রভাব ফেলতে পারে।
আলসারের ওষুধ বা অ্যান্টাসিড নিজে নিজে বা দীর্ঘদিন খাওয়া ঠিক নয়। এতে হতে পারে নানা সমস্যা। বিশেষজ্ঞরা এমনই বলছেন।