
বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের এলিমিনেটর ম্যাচে নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন ঢাকার অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। দুইবার সতীর্থ নাসুম আহমেদকে মারতে উদ্যত হয়েছিলেন তিনি।
জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও সিনিয়র ক্রিকেটার মুশফিকের এমন আচরণ ভালোভাবে নেননি ক্রিকেট বিশ্লেষক ও সমর্থকরা। শেষ পর্যন্ত তা বুঝতে পেরে ক্ষমা চেয়েছেন মুশফিক।
শান্ত, দায়িত্বশীল, ভদ্র ও নম্র- এসবগুণই খাটে ‘মুশি’র ক্ষেত্রে। ক্যারিয়ারে তাকে শৃঙ্খলাভঙ্গ বা ইগো সংক্রান্ত কোনো ঝামেলায় জড়াতে দেখা যায় নি। তবে এমন কি হলো, যার জন্য গতকাল সোমবার রাতে নিজের দলের জুনিয়র সতীর্থ নাসুম আহমেদের সঙ্গে এমন অশালীন প্রতিক্রিয়া দেখালেন। কী ঘটতে পারে তাও কেউ অনুমান করতে পারছেন না।
মুশি খেলছেন বেক্সিমকো ঢাকার হয়ে। গতকাল রাতে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি এলিমিনেটর ম্যাচে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটে বরিশালের ব্যাটিং করার সময়। ইনিংসের ১৭তম ওভারে ঢাকার জন্য বিপদজ্জনক হয়ে উঠা আফিফ ক্যাচ তোলেন উইকেটের পেছনে। ক্যাচটি তালুবন্দি করতে ছুটে যান মুশফিক। এরমধ্যে ক্যাচ ধরতে শর্ট ফাইন লেগে থাকা ফিল্ডার নাসুমও চলে আসেন বলের কাছাকাছি। এ সময় ক্যাচ ধরতে গিয়ে মুশফিক ও নাসুমের মধ্যে ধাক্কা প্রায় লেগেই যাচ্ছিল। যদিও নিরাপদে ক্যাচটি গ্লাভসবন্দী করেন উকেটরক্ষক মুশফিক। তখন বল হাতে থাকা অবস্থায় মেজাজ হারিয়ে নাসুমকে প্রায় মারতে উদ্যত হতে দেখা যায় তাকে।
আজ মঙ্গলবার নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে নাসুমের সঙ্গে হাস্যোজ্জ্বল একটি ছবি পোস্ট করেছেন মুশফিক। লিখেছেন, ‘প্রথমত, আমি আনুষ্ঠানিকভাবে আমার সব ভক্ত ও দর্শকের কাছে ক্ষমা চাই গতকালের ম্যাচের ঘটনার জন্য। ম্যাচের পরই সতীর্থ নাসুমের কাছে আমি ক্ষমা চেয়েছি। দ্বিতীয়ত, আমি স্রষ্টার কাছেও ক্ষমা প্রার্থনা করছি। সবসময়ই মনে রাখার চেষ্টা করি, আমি সবকিছুর ওপরে একজন মানুষ এবং মাঠে যে আচরণ দেখিয়েছি, তা গ্রহণযোগ্য নয়।’
ভবিষ্যতে এমন আচারণ আর কখনো করবেন না প্রতিশ্রতি দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে, নিকট ভবিষ্যতে মাঠে বা মাঠের বাইরে এমন আচারণের পুনরাবৃত্তি হবে না।’
ম্যাচে শেষ পর্যন্ত ঘটনা বা চূড়ান্ত ফলাফল কোনটাই ঢাকার বিপক্ষে যায়নি। ৯ রানের ব্যবধানে ম্যাচটি জিতেছে বেক্সিমকো ঢাকা। এ জয়ের মধ্যে দিয়ে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে পৌঁছে গেছে তারা। তবে খেলা শেষে সবারই মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল কুল মুশফিকের মেজাজ হারানোর মুহুর্তটিকে ঘিরে।
ম্যাচ শেষে দলের ফিল্ডিং নিয়ে হতাশ ছিলেন জানালেও ঠিক কী কারণে এমনটা করলেন সে বিষয়ে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে পরিষ্কার করেননি ঢাকার অধিনায়ক।