ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা পেয়ে বাংলাদেশের মতো গতকাল বুধবার নেপালেও এর প্রয়োগ শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে যারা টিকা নিয়েছেন তাদের কারোর ক্ষেত্রে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।
সুকরারাজ ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজ হাসপাতালে বেলা ১১টার দিকে টিকা কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি।
শুরুর দিকেই টিকা নিয়েছেন হাসপাতালটির নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) নারী স্বাস্থ্যকর্মী ইশা দেবকোটা। টিকা নেয়ার পর পরই দৈনন্দিন কাজে ফিরে আসেন তিনি, কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।
দেবকোটা বলেন, ‘শুরুর দিকে আমার যে ভয় ছিল, টিকা নেয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা কেটে গেছে। আমি এখন বেশ আছি।’
উদ্বোধনীর দিন টিকা নিয়েছেন আরও কয়েক চিকিৎসক। তাদের ক্ষেত্রেও কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়নি।
নেপালে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে। এক বছর পার হতেই দেশটিতে শুরু হলো এই ভাইরাস প্রতিরোধী টিকাদান।
হিমালয় অধ্যুষিত দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েছে দুই লাখ ৭০ হাজারের বেশি মানুষের শরীরে। এর মধ্যে মারা গেছেন দুই হাজার জন।
ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত করোনা প্রতিরোধী টিকা উৎপাদন করছে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট। কোভিশিল্ড নামে এই টিকা ভারত সরকার, বাংলাদেশ ও নেপালসহ বিভিন্ন দেশে বিক্রি করছে তারা।
বাংলাদেশের মতো নেপালও এই টিকা ওপর নির্ভর করে ছিল। কেননা তীব্র মাত্রার কোল্ড চেইন নিশ্চিত করে অন্যান্য টিকা আনার অবকাঠামো দেশটিতে নেই।
২১ জানুয়ারি সিরাম থেকে পাঠানো ১০ লাখ টিকা কাঠমান্ডুতে পৌঁছায়।
টিকার ডোজগুলো বণ্টন করে নেপালের সাতটি প্রদেশের সবগুলোতে পৌঁছানো হয়েছে। আপাতত ৪৩ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী, করোনা মোকাবিলায় সামনের সারির যোদ্ধা, নিরাপত্তা কর্মী, বয়স্কদের মধ্যে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নেপাল সরকার।