
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ভারত ও বাংলাদেশের আইনের অবকাঠামো প্রায় একই। সে জন্য এ দুই দেশের বিচারিক আদালত ও উচ্চ আদালতের বিচারক ও বিচারপতি এবং আইনজীবীদের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা প্রয়োজন। আর এ জন্য প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নিতে হবে।
ভারতীয় হাই কমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামীর সঙ্গে বৈঠক শেষে আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। আজ গুলশানে আইনমন্ত্রীর বাসভবনে এ বৈঠক হয়।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘ভারতীয় হাইকমিশনারের সঙ্গে এক ঘণ্টার বৈঠক হয়েছে। এতে বাংলাদেশ ও ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা হয়। আমরা উভয়েই এই সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছি।’
মন্ত্রী বলেন, ‘ভারত এবং বাংলাদেশের বিচারিক আদালত ও উচ্চ আদালতের বিচারক ও বিচারপতিদের মধ্যে এবং আইনজীবীদের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা এবং প্রশিক্ষণের জন্য আমাদের যে প্রতিষ্ঠানগুলো আছে সেগুলো কীভাবে কাজ করবে তা নিয়ে বৈঠকে আলাপ আলোচনা হয়েছে। আমরা এই আলোচনা আরও চালিয়ে যাব। বৈঠকে যেসব কথা বলেছি সেগুলো কাজে পরিণত করব।’
পরে ভারতীয় হাই কমিশনার দোরাইস্বামী সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী, আইনমন্ত্রীসহ সর্বসাধারণের জন্য আমাদের সহযোগিতা থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের দুদেশের বিচারিক পদ্ধতি প্রায় এক। এর ফলে আমরা একে অপর থেকে শিখতে পারব এবং কাজ করতে পারব। কারণ দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, করোনার মধ্যেও বাংলাদেশের বিচার বিভাগ বিচারিক কাজে যে ভূমিকা রেখেছে তা প্রশংসনীয়।