হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে গ্রেপ্তারের পর তেজগাঁও থানায় নেওয়া হয়েছে। আজ রোববার মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল গণমাধ্যমকে বলেন, মামুনুল হকের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। সেই মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারের পর মামুনুল হককে প্রথমে পুলিশের তেজগাঁও বিভাগে নেওয়া হয়েছিল। সেখানে কিছু সময় রাখার পর তেজগাঁও থানায় নেওয়া হয়। এর আগে তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) হারুন অর রশিদ তাঁর কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ২০২০ সালে মোহাম্মাদপুরে একটি ভাঙচুরের মামলায় মামুনুলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে আরও কয়েকটি মামলা আছে মতিঝিল, পল্টন, নারায়ণগঞ্জে। পরে সেগুলো সমন্বয় করা হবে। কাল সোমবার মামুনুলকে আদালতে তোলা হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে হারুন অর রশিদ বলেন, মামনুল হককে দীর্ঘদিন ধরেই নজরদারিতে রাখা হচ্ছিল।
তেজগাঁও পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, মামুনুলকে তেজগাঁও থানায় নেওয়া হয়েছে। সেখানে তাঁকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
মামুনুল হক বেশ কিছুদিন ধরেই আলোচনায় আছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমনকে কেন্দ্র করে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম এলাকায় গত ২৬ মার্চ সংঘর্ষ ও সহিংসতার ঘটনায় মামুনুলের সংশ্লিষ্টার অভিযোগে মামলা হয়। পল্টন থানায় ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলার অন্যতম আসামি তিনি।
এ ছাড়া ‘একাধিক বিয়ের’ খবরে মামুনুল হক সম্প্রতি আলোচনার জন্ম দিয়েছেন। এর একটি ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়েছে। ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার রয়্যাল রিসোর্টে মামুনুল হক নারীসহ ঘেরাও হন। তাঁকে ছাড়িয়ে নিতে হেফাজতের কর্মীরা সেদিন রিসোর্টে ভাঙচুর করেন। ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় তিনটি মামলা হয়েছে। একটি মামলার আসামি করা হয় মামুনুল হককে।
রিসোর্টে যে নারীসহ মামুনুল হক ঘেরাও হন, সে নারীকে তিনি তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী বলে জানান। এর কিছুদিন পরই গাজীপুরের এক নারীকে তিনি বিয়ে করেছেন বলে খবর প্রকাশিত হয়। সেই নারীর ভাই নিজের বোনকে খুঁজে পাচ্ছেন না জানিয়ে মোহাম্মদপুর থানায় জিডি করেছিলেন।