ক্রীড়া

মিরাজের সেঞ্চুরিতে চারশ পেরিয়ে বাংলাদেশ

সিঙ্গেল নেওয়ার সময় শূন্যে লাফানো আর মুষ্ঠিবদ্ধ হাত বাতাসে ছুঁড়লেন এক দফায়। দ্বিতীয় রান নেওয়ার সময় আরেক দফায়। এরপর যেন ডানা মেলে দিয়ে ভেসে চললেন। একটু থেমে সিজদা দেওয়া হয়ে গেল। মেহেদী হাসান মিরাজের উদযাপন যেন শেষই হচ্ছিল না। প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরির অনির্বচনীয় স্বাদ বলে কথা!

সকালে লিটন দাস ও সাকিব আল হাসান যা পারেননি, আগের দিন পারেননি প্রতিষ্ঠিত অন্য ব্যাটসম্যানরা, তা করে দেখালেন মিরাজ। আট নম্বরে নেমে অসাধারণ এক সেঞ্চুরিতে এগিয়ে নিলেন দলের ইনিংস।

তাই বলা যায়, মিরাজের সৌজন্যে বাংলাদেশ পেল বড় স্কোর।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিনে চা বিরতির ঠিক আগে প্রথম ইনিংসে ৪৩০ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ।শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে মিরাজ করেছেন ১০৩ রান।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এটি মিরাজের প্রথম সেঞ্চুরি। এর আগে কখনো সেঞ্চুরির দেখা পাননি, এমনকি ঘরোয়া ক্রিকেটের কোনো সংস্করণেও।

আট নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশের এটি চতুর্থ সেঞ্চুরি। ২০০৪ সালে এই পজিশনে শতরান করেছিলেন খালেদ মাসুদ, ২০১০ সালে মাহমুদউল্লাহ ও ২০১৩ সালে সোহাগ গাজী।

দিনের শুরুতে লিটন ও লাঞ্চের আগে সাকিবকে হারানোর পরও বাংলাদেশ মোটামুটি বড় স্কোর পেয়েছে মিরাজের দারুণ ব্যাটিংয়েই। শেষ তিন জুটিতে বাংলাদেশ তুলেছে ১১৫ রান, সেখানে মিরাজের অবদান ৬৫।

বাংলাদেশ দিন শুরু করে ৫ উইকেটে ২৪২ রান নিয়ে। সকালের সেশনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা ছিল নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরার টেস্টে সাকিবের ফিফটি। তবে ইনিংসটি শেষ হয় বাজে শটে। তার আগে লিটনও বিলিয়ে আসেন উইকেট।

বিস্ময়করভাবে দিনের শুরুতে সাকিব ও লিটনকে চেপে ধরেননি ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট। মাঠ সাজানো ছিল ছড়ানো। এক-দুই করে রান নিয়ে শুরু করতে সমস্যা হয়নি দুই ব্যাটসম্যানের।

সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: (আগের দিন ২৪২/৫) ১৫০.২ ওভারে ৪৩০ (সাকিব ৬৮, লিটন ৩৮, মিরাজ ১০৩, তাইজুল ১৮, নাঈম ২৪, মুস্তাফিজ ৩; রোচ ২০-৫-৬০-১, গ্যাব্রিয়েল ২৬-৪-৬৯-১, কর্নওয়াল ৪২.২-৫-১১৪-২, মেয়ার্স ৭-২-১৬-০, ওয়ারিক্যান ৪৮-৮-১৩৩-৪, ব্র্যাথওয়েট ৪-০-১৩-০, বনার ৩-০-১৬-১)।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button