
জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে চলমান বিক্ষোভ ছড়িয়ে দিতে মিয়ানমারের আন্দোলনকারীরা আজ বুধবার আরও ব্যাপক আকারে প্রতিবাদের পরিকল্পনা করেছে।
এমন পরিস্থিতিতে এশিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় ১০ দেশের জোট আসিয়ানের সদস্য ইন্দোনেশিয়া মিয়ানমারের সংকট নিরসনে উদ্যোগ নিয়েছে।
সেনাশাসনের অবসান ও শান্তিতে নোবেলজয়ী নির্বাচিত নেতা অং সান সু চির মুক্তির দাবিতে হুমকি উপেক্ষা করে মিয়ানমারজুড়ে সাধারণ ধর্মঘট পালিত হয়েছে। দেশটির বিভিন্ন প্রান্তে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেয়।
গতকাল মঙ্গলবার বিক্ষোভ মিছিলে জমায়েত তুলনামূলক কম ছিল। মিয়ানমারের বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গুনের উত্তরাঞ্চলে মায়ানগনে বুধবার বড় আকারে বিক্ষোভের পরিকল্পনা করেছে নানা সম্প্রদায়ের পাশাপাশি গণতন্ত্রপন্থি আন্দোলনকারীরা।
ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেতনো মারসুদি বৃহস্পতিবার মিয়ানমারের উদ্দেশে রওনার পরিকল্পনা করেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, মিয়ানমারের চলমান সংকট নিরসনের লক্ষ্যে তিনি সংঘাতময় দেশটি সফর করতে পারেন।
রেতনো মিয়ানমার সফরের পরিকল্পনা করেছেন এমন বক্তব্য বুধবার অস্বীকার করেছে ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র তেউকু ফাইজাসিয়াহ বলেন, ‘সাম্প্রতিক পরিস্থিতি বিবেচনা ও আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে কথা বলে মনে হয়েছে মিয়ানমার সফরের উপযুক্ত সময় এখনই নয়।’
অবশ্য মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি আন্দোলনের একটি অংশ দেশটিতে ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরকে স্বাগত নাও জানাতে পারে। তারা মনে করে, জান্তা সরকারের সঙ্গে আসিয়ানভুক্ত কোনো দেশের সমঝোতায় নভেম্বরের নির্বাচনে সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসির (এনএলডি) নিরঙ্কুশ জয়ের স্বীকৃতি প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করতে পারে।
আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোকে (ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া, লাওস, কম্বোডিয়া ও ব্রুনাই) নিয়ে মিয়ানমার বিষয়ে বিশেষ আলোচনায় বসতে চাইছেন ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
মিয়ানমারে সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দিতে দেশটির জান্তা সরকারকে সহযোগিতার প্রস্তাব দিয়েছে ইন্দোনেশিয়া। তবে ইয়াঙ্গুনে ইন্দোনেশিয়ার দূতাবাসের বাইরে জান্তা সরকারকে দেয়া নির্বাচন প্রস্তাবের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করে অনেকে।