
মিয়ানমারে নভেম্বরের নির্বাচনের পর বেসামরিক সরকারের সঙ্গে সেনাবাহিনীর বাড়তে থাকা উত্তেজনার মধ্যেই সোমবার থেকে দেশটির নতুন পার্লামেন্টের যাত্রা শুরু হতে যাচ্ছে।
২০২০ সালের ৮ নভেম্বর মিয়ানমারের জাতীয় নির্বাচনে বড় জয় পায় অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি)। পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে ৩২২ আসনের স্থলেসু চির দল জয় পেয়েছে ৩৪৬ আসনে।
২০১১ সালে অর্ধ শতাব্দীর সেনা শাসনের অবসান ঘটিয়ে গণতন্ত্রের পথে ফেরা মিয়ানমারে এটি দ্বিতীয় জাতীয় নির্বাচন।
দেশটির প্রভাবশালী সেনাবাহিনী সমর্থিত বিরোধীদল ইউনিয়ন সলিডারিটি এন্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (ইউএসডিপি) ভোটে প্রতারণার অভিযোগ তুলে নির্বাচনের ফল মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানায়। তারা নতুন করে আবার নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানায়। নতুবা হুমকির সুরে সেনাবাহিনীর অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আবারও ক্ষমতা দখলের আশঙ্কার কথা জানা গেছে।
এ বিষয়ে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ‘নির্বাচনে প্রতারণার’ অভিযোগ নিয়ে যে রাজনৈতিক সংকটের সৃষ্টি হয়েছে তা সমাধানের ব্যবস্থা না করলে ‘ব্যবস্থা গ্রহণের’ পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে জানানো হয়।ওই ব্যবস্থা কী অভ্যুত্থান হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে এ সপ্তাহে সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র বলেন, সেই আশঙ্কাও উড়িয়ে দেয়া যায় না।
এতদিন পর্যন্ত দেশটির বেসামরিক সরকার সেনাবাহিনীর সঙ্গে ক্ষমতা ভাগাভাগি করে দেশ পরিচালনা করে আসছিল। নভেম্বরের নির্বাচন নিয়েই প্রথম দুই পক্ষ সরাসরি বিরোধে জড়িয়েছে।
গত বুধবার মিয়ানমার সেনাবাহিনীর কমান্ডার ইন চিফ সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং সেনাসদস্যদের জন্য দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘‘যদি সংবিধান মেনে চলা না হয় তবে সেটা বাতিল করাই উচিত।”
সু চি এখন পর্যন্ত সেনাবাহিনীর সঙ্গে এ বিরোধ নিয়ে জনসম্মুখে কোনো কথা বলেননি। তবে এনএলডি-র এক মুখপাত্র জানান, গত বৃহস্পতিবার দলের সদস্যরা সংকট সমাধানে সেনা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। কিন্তু ওই বৈঠক ‘অসফল’ ছিল বলেও জানান তিনি।.