ক্রমবর্ধমান আন্দোলন দমাতে রোববারের পর গতকাল সোমবার রাতেও ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করেছে মিয়ানমারের সেনাশাসকরা।
আজ মঙ্গলবার এ তথ্য জানা গেছে। ইন্টারনেট সংযোগ নির্ধারিত মাত্রার ১৫ শতাংশে রাতারাতি নেমে আসে।
স্থানীয় সময় সোমবার রাত ১টা থেকে টানা দ্বিতীয়বার ইন্টারনেট সংযোগ প্রায় বন্ধ করা হয় মিয়ানমারে।
মিয়ানমারের জনগণের অসহযোগ আন্দোলন দমাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক, টুইটার ও ইনস্টাগ্রাম আগে বন্ধ করেছিল সামরিক জান্তা।
মিয়ানমারের রাস্তায় সেনা টহল বাড়ানো হয়েছে। নামানো হয়েছে ট্যাংক। গুরুত্বপূর্ণ সড়কে পুলিশের বদলে সেনাবাহিনী অবস্থান নিয়েছে।
মিয়ানমারের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ভবন, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের দূতাবাস এবং সামরিক অভ্যুত্থানের সময় কারাবন্দি নেতা অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসির (এনএলডি) সদর দপ্তর ঘিরে মূলত আন্দোলনকারীরা বিক্ষোভ করছেন।
মিয়ানমারের কেন্দ্রস্থলের মান্দালে সোমবার বিক্ষোভকারীরা জড়ো হয়। সে সময় বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতে তাদের ওপর নিরাপত্তা বাহিনী রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে বলে খবর পাওয়া গেছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা এক ভিডিওতে দেখা যায়, বিক্ষোভকারীরা সরে যাওয়ার সময় বন্দুকের গুলির মতো শব্দ শোনা যায়। পরে অনেককে আহত অবস্থায় দেখা যায়।
গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও সু চিসহ গ্রেপ্তার হওয়া সবাইকে মুক্তির দাবিতে রাজধানী নেপিদোতেও সোমবার শিক্ষার্থীরা রাস্তায় বিক্ষোভ করে। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে আটক করা হলেও পরে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।
মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর ওয়েবসাইটে সোমবার এক বিবৃতিতে বলা হয়, যারা নিরাপত্তা বাহিনীকে তাদের কর্তব্য পালনে বাধা দেবে, তাদের ২০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। এ ছাড়া ভীতি বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করা হলে তিন থেকে সাত বছর পর্যন্ত কারাবরণ করতে হতে পারে।