
মোটরসাইকেল নিবন্ধন ফি প্রায় অর্ধেক কমিয়েছে অর্থমন্ত্রণালয়। ১০০ সিসি পর্যন্ত মোটরসাইকেলের নিবন্ধন ফি ৪২০০ টাকা থেকে কমিয়ে ২০০০ টাকা ও ১০০ সিসির বেশি মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন ফি ৫৬০০ টাকা থেকে কমিয়ে ৩০০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে রেজিস্ট্রেশন ফি কমিয়ে নির্ধারণ করতে অর্থমন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছিল সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ।
টিভিএস অটো বাংলাদেশের সিইও ও বাংলাদেশ মোটরসাইকেল অ্যাসেমব্লার্স অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব কুমার রায় বলেন, ‘এটি ভালো উদ্যোগ। এজন্য সরকারের প্রতি আমরা আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই।’
তবু কিস্তিতে রোড ট্যাক্স আদায় করছে বিআরটিএ। এর পরিমাণও তুলনামূলক বেশি। জানা গেছে, আধুনিক নম্বর প্লেটগুলোয় খরচ বেশি হয়ে থাকে।
বিপ্লব বলেন, ‘এখন ১০০ সিসির মোটরসাইকেল চালাতে হলে ১০ হাজারের অধিক টাকার প্রয়োজন হবে,যা আমাদের মতো দেশের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি। একটি মোটরসাইকেলের পেছনে সারাজীবনে যে খরচ, তার সঙ্গে প্রতিবেশী দেশগুলোকে চারবার তুলনা করলেও এই খরচ বেশি হবে।’
বাংলাদেশে মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন ফি, রোডট্যাক্স, নম্বরপ্লেটসহ অন্য খাতে ক্রেতাকে মোটরসাইকেলের দামের প্রায় ২২ শতাংশ খরচ করতে হয়।
গত বছর আগস্টে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব আহমদ কায়কাউসের সভাপতিত্বে বাংলাদেশে জাপানি বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশ-জাপান পাবলিক প্রাইভেট জয়েন্ট ইকোনমিক ডায়ালগ (পিপিইডি)’ সভায় জাপানি বিনিয়োগকারীরা মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশনসহ আনুষঙ্গিক খরচ ৮ শতাংশে নামিয়ে আনার প্রস্তাব রাখেন।
এর আগে জুনে বাজেট ঘোষণার আগে বাংলাদেশ মোটরসাইকেল অ্যাসেমব্লার্স অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন ফি ৮১% কমিয়ে আনার প্রস্তাব করেছিল।
রেজিস্ট্রেশন ফি, রোড ট্যাক্স, শুল্ক ও অন্যান্য চার্জসহ মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন ব্যয় গড়ে প্রায় ২২ হাজার টাকা, যা সর্বাধিক ইঞ্জিনের ক্ষমতাসম্পন্ন ১০০ সিসি মোটরসাইকেলের দামের প্রায় ২৫ শতাংশ। অ্যাসোসিয়েশন ৪ হাজার টাকা ফি নির্ধারণ করতে চাচ্ছে।
মোটরসাইকেল খাত অর্থনীতিতে প্রতি বছর ডিউটি, ট্যাক্স ও ভ্যাট হিসাবে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার অবদান রাখে। এ ছাড়া নিবন্ধন ফি থেকে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা আয়ের সুযোগ রয়েছে।