জঙ্গি সংগঠন আল-কায়দা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর সাম্প্রতিক একটি বক্তব্যে বাংলাদেশকে জড়ানোর বিষয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে সরকার।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, পম্পেও বলেছেন- বাংলাদেশ এমন একটি জায়গা যেখানে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আল-কায়দা হামলা চালিয়েছিল, ভবিষ্যতে এমন হামলার আশঙ্কা রয়েছে। একজন সিনিয়র নেতার এমন দায়িত্বহীন মন্তব্য দুঃখজনক ও অগ্রহণযোগ্য। বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে এমন ভিত্তিহীন মন্তব্য ও মিথ্যাচার প্রত্যাখ্যান করছে। বাংলাদেশে আল-কায়দার উপস্থিতির কোনও প্রমাণ নেই।
বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে যে কোনো সন্ত্রাসবাদ ও হিংস্র উগ্রবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ ও এই বিপর্যয় মোকাবিলায় সম্ভাব্য সব পদক্ষেপ নিয়েছে।
আরো বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বে বাংলাদেশ যেকোনও ধরনের সন্ত্রাস ও উগ্রবাদের বিরুদ্ধে শূন্য সহিষ্ণুতার নীতি মেনে চলে। সন্ত্রাস মোকাবিলায় আমাদের অতীত রেকর্ড বিশ্বব্যাপী প্রশংসা অর্জন করেছে।
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলার প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে এ ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাপী ১৪ কনভেনশনের প্রত্যেকটিতে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ রয়েছে। সন্ত্রাসবাদবিরোধী আন্তর্জাতিক পদক্ষেপে আমাদের দেশ সক্রিয়ভাবে যুক্ত।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এ ধরনের দাবি যদি প্রমাণিত হয়, তা মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেবে বাংলাদেশ সরকার। যদি কল্পনা ও জল্পনার ওপর ভিত্তি করে এ ধরনের বক্তব্য দেয়া হয়, বাংলাদেশ এটাকে দুর্ভাগ্যজনক হিসেবে বিবেচনা করছে, বিশেষ করে যখন দুইটি বন্ধু দেশ পারস্পরিক মূল্যবোধ, শান্তি ও একীভূত লক্ষের ওপর ক্রমবর্ধমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এগিয়ে নিচ্ছে।