বহুজাতিক মোবাইল ফোন অপারেটর রবি আজিয়াটা পুঁজিবাজারের লেনদেনে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) যুক্ত হচ্ছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আইপিও ও লটারি বিজয়ীদের মাঝে শেয়ার বরাদ্দ শেষে এখন তালিকাভুক্তির চূড়ান্ত পর্যায়ে রবি।
নিয়ম অনুযায়ী তালিকাভুক্তির প্রথম ও দ্বিতীয় দিন নতুন কোম্পানির শেয়ারের দাম ৫০ শতাংশের বেশি বাড়তে পারে না। তৃতীয় দিন থেকে বাড়তে পারবে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশের মতো। সে হিসাবে প্রথম দিন রবির শেয়ারের সর্বোচ্চ দাম উঠবে ১৫ টাকা। আর রোববার দ্বিতীয় দিনে উঠবে সাড়ে ২২ টাকা।
চলতি বছর পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) রবিকে আইপিও’র মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে টাকা সংগ্রহের অনুমোদন দেয়। এরপর রবি ১৭ নভেম্বর আইপিওর সাবস্ক্রিপশন শুরু করে। শেষ হয় ২৩ নভেম্বর।
কোম্পানিটি পুঁজিবাজার থেকে উত্তোলন করেছে ৫৮৬ কোটি ৪৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
১০ ডিসেম্বর ডিজিটাল প্লাটফর্মে রবির আইপিও লটারির ড্র অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। ২০ ডিসেম্বর সব শেয়ার বিজয়ী বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবে শেয়ার জমা দেওয়া হয়েছে। পরে লটারির মাধ্যমে সাড়ে ১২ লাখের মতো বিনিয়োগকারীর মধ্য থেকে চার লাখ ৬৫ হাজার ২৯০ বিনিয়োগকারীকে শেয়ার বরাদ্দ দেয়া হয়।
এই সময় রবি’র আইপিওতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও সাধারণ বিনিয়োগকারী মিলে আইপিওতে ২ হাজার ২২৭ কোটি টাকার আবেদন করেছে। এর মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ১ হাজার ৫৮৭ কোটি টাকার ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর ৬৪০ কোটি টাকার আবেদন করেছেন, যা নির্ধারিত আবেদনের চেয়ে ৫ দশমিক ৭৪ গুন বেশি।
বিনিয়োগকারীদের আশা, গ্রামীণফোনের পর রবির মতো কোম্পানির তালিকাভুক্তিতে বিনিয়োগ পরিধি বাড়বে। গ্রামীণফোনের আইপিওর পর শেয়ারবাজারের প্রতি নতুন বিনিয়োগকারীদের এমন আগ্রহ খুব একটা দেখা যায়নি।
পুঁজিবাজারে সবচেয়ে বড় ৫ হাজার কোটি টাকার পরিশোধিত মূলধন নিয়ে তালিকাভুক্ত হতে যাচ্ছে রবি। এর আগে সর্বোচ্চ পরিশোধিত মূলধনী কোম্পানি ছিল ন্যাশনাল ব্যাংক।
প্রসপেক্টাস অনুযায়ী, ৪ হাজার ৭১৪ কোটি ১৪ লাখ টাকার পরিশোধিত মূলধনের প্রতিষ্ঠান রবির ২০১৯ সালে টার্নওভার হয়েছে ৭ হাজার ৪৮১ কোটি ১৭ লাখ ৪৮ হাজার টাকা। টার্নওভার থেকে সব ব্যয় শেষে নিট মুনাফা হয়েছে ১৬ কোটি ৯০ লাখ ৮৯ হাজার টাকা, যা শেয়ারপ্রতি হিসেবে ৪ পয়সা।