প্রযুক্তি

রাইডশেয়ারিং: সহজ করবে কর্মজীবী নারীর জীবন

বাংলাদেশের কর্মজীবী নারীরা সুপারহিরোদের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়। ভোরবেলা সূর্য ওঠার আগে জেগে উঠে তারা ঘরের কাজ করেন, পরিবারের জন্য সকালের নাস্তা তৈরি করেন, আবার অফিসের জন্য প্রস্তুত হন। শুধু তা-ই নয়, অফিসের কাজ সেরে বাড়ি ফিরে রাতের খাবারের প্রস্তুতিও নিতে হয় তাদের। বেশিরভাগ সময় বাজার করা থেকে শুরু করে সন্তানদের স্কুলে রেখে আসা, আবার ঘর সামলানোর পাশাপাশি অফিসের মিটিং পর্যন্ত সব কিছুই খেয়াল রাখতে হয় তাদের।

এতোসব কাজ অনায়াসে করে ফেলেন নারীরা। তবে রাজধানীর মতো ব্যস্ত শহরে একজন কর্মজীবী নারীর জীবন তুলনামূলক কঠিন, কারণ এ শহরে দীর্ঘসময় ব্যয় হয় ট্র্যাফিক জ্যামে। কিন্তু জ্যামে বসে থেকে কালক্ষেপন করার মতো সময়ও তাদের হাতে থাকে না। তাই সময় বাঁচাতে রাইডশেয়ারিংয়ের বিকল্প নেই।

তাই অফিস থেকে ফিরতে দেরি হলে জ্যাম এড়িয়ে ঠিক সময়ে বাড়ি পৌঁছাতে উবার মোটোর মতো রাইডশেয়ারিং সেবা হতে পারে নির্ভরযোগ্য যাতায়াতমাধ্যম। একসঙ্গে অনেক কাজ থাকে যেমন সন্তানদের স্কুলে পৌঁছে দেওয়া, বাজার করা বা কোন মিটিংয়ে পৌঁছানো ইত্যাদি কাজে যোগ দিতে রেন্টালস ব্যবহার করা যাবে সহজে। আবার যদি শহরের বাইরে কোন মিটিংয়ে যেতে হয় তাহলে রয়েছে ইন্টারসিটি সার্ভিস।

রাইডশেয়ারিংয়ে ব্যবহার করা হয় অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। যেমন জিপিএস ট্র্যাকিং, বিশ্বস্ত ব্যাক্তিদের সঙ্গে ট্রিপের সর্বশেষ অবস্থান শেয়ার করার সুবিধা, ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি বাটন ইত্যাদি। তাই রাইডশেয়ারিং ব্যবহার করা নিরাপদ।

আর এসব সেবা শুধু কয়েকটি ক্লিকে পাওয়া যায়। তাই নারীরা এখন নিশ্চিন্তে, নিরাপদে চলাচল করতে রাইডশেয়ারিংয়ের উপর আস্থা রাখছেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button