
রাজসিক প্রত্যাবর্তন করেছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। দুর্দান্ত বোলিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে হলেন ম্যাচসেরা।
তবে সোমবার (২৫ জানুয়ারি) শেষ ম্যাচে বোলিংয়ের সময় কুঁচকিতে টান লাগায় খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে মাঠ ছাড়ায় দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে তার খেলা নিয়ে মৃদু অনিশ্চয়তা দেখা দিলেও সিরিজসেরা হয়ে বেশ খুশি সাকিব। তবে চিন্তায় ফেলেছে চোট।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে এই বাঁ-হাতি অলরাউন্ডার ব্যাটিংয়ে ৫১ রান করেন। বোলিংয়ে মাত্র ৪.৫ ওভার করে কুঁচকিতে টান লাগায় মাঠ ছাড়েন। উইকেট পাননি।
সিরিজ সেরা হওয়ার পর সাকিব বলেন, কোচিং স্টাফ ও সতীর্থদের সব কৃতিত্ব দিতে হবে। প্রথম ম্যাচ থেকেই স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করেছি। আমি জানতাম আমার কিছু ম্যাচ দরকার। প্রথম ম্যাচের পর আমি যথেষ্ট আত্মবিশ্বাস পেয়ে যাই, যেটা আমি চেয়েছিলাম। সিরিজের ধারাবাহিকতার সঙ্গে আমার উন্নতি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, স্পিনারদের ভালো করার জন্য পেস বোলাররা বেশ সহায়ক হয়। আমাদের ভালো ওয়ানডে দল রয়েছে। সবাই চ্যালেঞ্জ নেয়ার জন্য প্রস্তুত ছিল। উন্নতির জন্য সবার মধ্যেই সুস্থ প্রতিযোগিতা ছিল। এ মুহূর্তে আমার কুঁচকির অবস্থা ভালো মনে হচ্ছে না।
সিরিজে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ছয় উইকেট সাকিবের। সাত উইকেট নিয়ে সবার উপরে মেহেদী হাসান মিরাজ। ব্যাটিংয়েও দারুণ সাকিব। এক হাফ সেঞ্চুরিসহ তিন ম্যাচে করেছেন তৃতীয় সর্বোচ্চ ১১৩ রান। তামিম ইকবাল ১৫৮ রান নিয়ে সবার উপরে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজের রভম্যান পাওয়েলের রান ১১৬।